রাজউক ইমারত পরিদর্শক আওয়ামী পন্থী আবুল কালাম আজাদ ঘুষ দুর্নীতির শীর্ষে এর খুঁটির জোড় কোথায়।
ক্রাইম রিপোর্ট: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ( রাজউক) এর জোনাল অফিস মহাখালী জোন ৩/২ কর্মরত ইমারত পরিদর্শক আওয়ামী পন্থী আবুল কালাম আজাদ ৫ আগস্ট ২০২৪খ্রীঃ এর পরে মিরপুর ১, এরিয়য় দায়িত্ব পালনকালে তার ঘুষ বাণিজ্যের একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে। ঐ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন বাড়ি ও কোম্পানির কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি ও ঘুষ-বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এ সংবাদ কর্মীকে বেশ কয়েকজন অভিযোগকারী জানায় ইমারত পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ ইতিমধ্যে কয়েক কোটি টাকার ঘুষ বাণিজ্য করে।
তার ঘুষ দুর্নীতির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদককে কে বেশ কয়েকজন সংবাদ কর্মী জানায় আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন সহ রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বরাবরে কয়েকটি অভিযোগ দিলেও তার কোন প্রতিকার পাই নাই। বিগত আওয়ামী সরকারের প্রধানমন্ত্রীর বাসার পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম ৪০০০ কোটি টাকার মালিক বলে জানিয়েছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। ঐ জাহাঙ্গীর আলমের রয়েছে একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ঐ কোম্পানির মাধ্যমে মিরপুর চিড়িয়াখানা রোডে বেশ কয়েকটি মালিকানা বিহীন জায়গায় মার্কেট তৈরি করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নকশা অনুমোদন ছাড়াই প্রধানমন্ত্রীর প্রভাব বিস্তার করে জাহাঙ্গীর আলম প্রতিটা মার্কেটই ৩-৪ তালা অবৈধ ভবন নির্মাণ করে এতে রয়েছে রেস্টুরেন্ট এবং শপিং মল।
এই দুর্নীতিবাজ ইমারত পরিদর্শক এ সকল অবৈধ ভবনের বিরুদ্ধে সংবাদকর্মীরা অভিযোগ দিলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কারণ দর্শানোর ও চূড়ান্ত নোটিশ জারি করে। এই ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ ইমারত পরিদর্শক ঐ সকল নোটিশ এবং অভিযোগ কে হাতিয়ার বানিয়ে প্রতিটি ভবন থেকে ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা করে ঘুষ নিয়েছে বলে একাধিক ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে জানায়। দৈনিক গণতন্ত্র পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হাসমত মিয়া এ প্রতিবেদককে জানায় সেকশন -১, ব্লক- জি, প্লট নং- ১/১ চিড়িয়াখানা রোড নাসিম টাওয়ার নামে পরিচিত এই ভবনের জমির মালিকানা এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নকশা অনুমোদন বিহীন চারতলা ভবনে আওয়ামী সরকারের প্রভাব খাটিয়ে পুরো ভবনে বিভিন্ন নামে রেস্তোরা ভাড়া দেয় যা সম্পূর্ণ অবৈধ। এ বিষয়ে হাসমত মিয়া আর ও জানায় এই অবৈধ ভবনের বিরুদ্ধে সে নিজে অভিযোগ দায়ের করেছিল রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বরাবর কর্তৃপক্ষ এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আসার পূর্বে চূড়ান্ত নোটিশ জারি করলেও এই কর্মকর্তা ভবন মালিকের পক্ষ থেকে ৫(পাঁচ) লক্ষ টাকা ঘুষ গ্রহণ করে উচ্ছেদ প্রস্তাব না দেওয়ার শর্তে। এ বিষয়ে সাংবাদিক হাসমত মিয়া এবং মিরপুর প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদ মোঃ সিদ্দিকুর রহমান রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ মহাখালী জোন -৩, এর পরিচালকের নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত হয়ে পরিচালককে ভুল তথ্য প্রদান করে।
এর প্রতিবাদ করায় আওয়ামী পন্থী ভবন মালিকের লোকজন নিয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় সংবাদকর্মীর উপরে হামলা চালায় এ বিষয়ে বেশ কয়েকটি পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করে এবং বিগত ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে ঐ (সাংবাদিক)সংবাদ কর্মী বাদী হয়ে ইমারত পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ সহ দুইজনকে আসামি করে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। এ প্রতিবেদককে মফস্বল বার্তা পত্রিকার সম্পাদক আখতারুজ্জামান তারেক জানায় নুর ডেভলপার কোম্পানির নিকট থেকে এই দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর ইমারত পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ কয়েক লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে চূড়ান্ত নোটিশ থাকার পরেও উচ্ছেদ প্রস্তাব দেয়নি। মহাখালী জোন -৩, এর পরিচালক এ প্রতিবেদক কে জানায় উচ্ছেদ প্রস্তাব আমি দিতে বলেছি কিন্তু আবুল কালাম আজাদ আমাকে ভুল ব্যাখ্যা দেয়। তার ঘুষ বাণিজ্য সম্বন্ধে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি আমি অতিসত্বর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করব। সাধারণ জনগণের দাবি এই আওয়ামীপন্থী ইমারত পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদের খুঁটির জোর কোথায় যে এখনো নির্বিঘ্নে ঘুষ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। এত পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করার পরে এবং বহু অভিযোগ থাকার পরেও তার কিছুই হচ্ছে না। ঘুষ দুর্নীতি এবং অবৈধভাবে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা অন্য মানুষের জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করেকোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ঐ দুর্নীতিবাজরা খোলস পরিবর্তন করেছে শুধু মাত্র। তারা টাকার বিনিময়ে অন্য গ্রুপকে হাতে নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। এর প্রতিবাদ সংবাদকর্মীরা করলে হেনস্থা হতে হয় পদে পদে। এ প্রতিবেদক কে মৃত বন্দে আলী মিয়ার পুত্র মোহাম্মদ শাহজাহান জানায় সেকশন -১, ব্লক – জি, প্লট নং- ১/১চিড়িয়াখানা রোড থানা শাহআলী মিরপুর ১ ঢাকা ১২১৬ প্লট টি আমার বাবা মৃত বন্দে আলী মিয়া কিছু অংশ ইমাম হোসেন( নাসিম) এর নিকট ভাড়া প্রদান করলে আমার বাবা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল থাকায় আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে নাসিম জোরপূর্বক চারতালা ভবন নির্মাণ করে যাহা সম্পূর্ণ অবৈধ। এই জায়গার মালিক আমরা কিন্তু আমাদের জায়গার উপরে অবৈধ ভবন নির্মাণ করে মার্কেট ভাড়া দেওয়ায় যদি কোন দুর্ঘটনা ঘটে এর দায়ভার আমরা তো নিবই না সরকার নিবে কিনা আমরা জানি না।