• ১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৮শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুনকে অপমৃত্যু হিসেবে রেকর্ড করলেই ওসি দায়ী : ডিএমপি কমিশনার

Mofossal Barta
প্রকাশিত ডিসেম্বর ১১, ২০২৪, ১৮:৩৬ অপরাহ্ণ
খুনকে অপমৃত্যু হিসেবে রেকর্ড করলেই ওসি দায়ী : ডিএমপি কমিশনার

ডিএমপি কমিশনার শেখ মো: সাজ্জাত আলী

সংবাদটি শেয়ার করুন....

অনলাইন ডেক্স: খুনকে অপমৃত্যু হিসেবে রেকর্ড করলেই অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দায়ী হবেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো: সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, বিশ্বায়নের এ যুগে পুলিশবিহীন সমাজব্যবস্থা চিন্তা করা যায় না। আমি কমিশনার হিসেবে ডিএমপিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। আমি উদাহরণ সৃষ্টি করতে চাই। সহকর্মীদের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনারাও উদাহরণ সৃষ্টি করুন।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়াম, রাজারবাগে ডিএমপি-এর নভেম্বর মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।

সাজ্জাত আলী বলেন, ‘থানায় কোনো অভিযোগ বা জিডি হলে পুলিশকে শিগগিরই ব্যবস্থা নিতে হবে। এক ঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে যেতে হবে এবং প্রাথমিক অনুসন্ধান করতে হবে। প্রয়োজনে মামলা রুজু করতে হবে। শিগগিরই যেকোনো ঘটনায় ব্যবস্থা নেয়া হলে পুলিশ সম্পর্কে জনগণের মধ্যে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রায় দু’ কোটি মানুষ ঢাকা শহরে বসবাস করেন। যানজটসহ নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত আমাদের এ শহর। জুলাই-আগস্টে পুলিশের ভূমিকার জন্য পুলিশের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। এরূপ অবস্থায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তথা বাংলাদেশ পুলিশ হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, মানুষের কাছে যাওয়া এবং তাদের কথা শোনা। একইসাথে নাগরিকদের বলতে হবে, আমরা তাদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই। পুলিশের আচার-আচরণ, নৈতিকতা ও জীবনযাপন পদ্ধতি এমন হতে হবে যেন তা অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘আইনগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি একজন পুলিশ অফিসার সম্পর্কে সাধারণ মানুষ কী ধারণা পোষণ করে সেটিও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘পুলিশের অন্যতম কাজ হচ্ছে অপরাধীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা। কোনো অবস্থাতেই কোনো খুনের ঘটনা যেন অপমৃত্যু হিসেবে থানায় রেকর্ড না হয় সেই ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং এর জন্য থানার ওসি দায়ী হবেন।’

তিনি বলেন, ‘ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ ও কিশোর-গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধে শিক্ষক, ছাত্র-জনতা, শ্রমিকনেতা ও ব্যবসায়ীসহ সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে সিটিজেন ফোরাম গঠন করা হবে।’

সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো: ফারুক হোসেন নভেম্বর-২০২৪ মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন ও পর্যালোচনা করেন।

এ সময় ডিএমপি কমিশনার বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা দেন। মাসিক অপরাধ সভায় নভেম্বর মাসে ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।

সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) মো: ইসরাইল হাওলাদার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো: মাসুদ করিম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) খোন্দকার নজমুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো: শওকত আলী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এস এন মো: নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার, ডিএমপি-এর সব থানার ওসি ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।