আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কতটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে, তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন জাপার চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে সহায়তা করতে চেয়েছি। শুনলাম তারা আর সংস্কার করতে পারছে না, তারা একটি সংস্কার প্রস্তাব তৈরি করছে। কারণ, সংস্কার করতে হলে সংসদে যেতে হবে। সব দলের সহযোগিতা ছাড়া সংস্কার সংসদে পাস করা যাবে না। এখন নির্বাচন নিয়ে কথা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কি না। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সমান সুযোগ) পাব, এটা আমরা মনে করতে পারছি না।’
জি এম কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে আমরা যেতে চাই। কিন্তু নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পাব কি না, দেখতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো দল থাকতে পারবে না। তাদের কোনো দল থাকলে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ব্যত্যয় ঘটায়। আমি দাবি জানাচ্ছি, আমাদের নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন, আমাদের অধিকার অনুযায়ী রাজনীতি করতে দিন। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া দেশে শান্তি আসবে না। দেশকে ভাগ না করে ঐক্যবদ্ধ করুন। আমরা সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই।’
এখনো জাতীয় পার্টির তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে, এখনো অনেকে জেলে আছেন, সভা–সমাবেশ করতে গেলে বাধা দেওয়া হচ্ছে, দলীয় কার্যালয় জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন জি এম কাদের।