নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সরকারি চাকুরি যেন সোনার হরিণ এমনটাই দেখে মিললো সাভার উপজেলা সমাজ সেবার অফিসে, যেখানে ডিউটি না করেই পাওয়া যাচ্ছে মাসিক বেতন।
সমাজ সেবার মান উন্নয়নে বাংলাদেশ সরকার নিচ্ছেন নানা পদক্ষেপ অথচ এক অসাধু ব্যক্তিরা রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা দেখিয়ে করছেন ব্যপক দূর্ণীতি।
জানা যায় সাভার উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে ডিউটি ছাড়াই কাজ না করে মাসের পর মাস বেতন উঠিয়ে নিচ্ছে সমাজ সেবা অফিস সহকারী কাউসার ।
তিনি প্রায় তিন বছর আগে মানিকগঞ্জ জেলা সমাজ সেবা অফিস থেকে অফিস সহকারী হিসেবে চাকুরী নিয়ে সাভার উপজেলা সমাজ সেবায় রেফার হয়।
এবং সেই থেকে উক্ত অফিসে ডিউটি ছাড়াই বেতন নিচ্ছেন অফিস সহকারী কাউসার। অফিসে না এসেই পাচ্ছে হাজিরা এবিষয়ে কোন আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন না উপজেলা প্রশাসন।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল জানা যায়, কাউসারের মা লাবলী আক্তার চাকুরী করেন সাভার ডেইরি ফার্ম কিউ সি ল্যাবে তিনিও ডিউটি না করে বদলি ডিউটি দিয়ে মাসের পর মাস উঠিয়ে নিচ্ছেন বেতন।
পিতা সেন্টু ঠিকাদার চাকুরী করেন প্রাণী সম্পদ অফিসে এবং ডেইরি ফার্ম করেন ঠিকাদারের কাজ। তার বিরুদ্ধে ও রয়েছে গরু চুরি করে বিক্রি করাসহ রয়েছে নানা অভিযোগ। এ বিষয়ে
বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় হয়েছে সংবাদ প্রকাশ।
তবে কাসারকে দীর্ঘদিন যাবত ডিউটি করতে দেখেন না নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অফিস সহকারি ও কর্মচারীরা।
সরজমিনে গেলে দেখা যায় কাউসার মাসের মধ্যে তিন থেকে চার দিন অফিসে এসে হাজিরা খাতায় সাক্ষর করে উঠিয়ে নেন মাসিক বেতন।
এবিষয়ে কাউসারের পিতা সেন্টু ঠিকাদার দলীয় ক্ষমতা দেখিয়ে বলেন আমার পিতা আব্দুর রব, তিনি ছিলেন মুক্তি যোদ্ধা আমি তার সন্তান, শুধু তাই নয় ত্রাণ ও দূর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান একাধিক বার গিয়েছেন আমাদের বাড়িতে ।
আমি ঢাকা ভ্যার্সিটির ছাত্র আমার ছেলে ভ্যার্সিটিতে লেখা পড়া করে, এজন্য অফিসে যায় না কিন্তু অফিসিয়াল কাজ গুলো সময় পেলেই বাসায় থেকে করে দেন কাউসার ।
অফিস সহকারী কাউসার বলেন আমি অফিসিয়াল কাছে বেশির ভাগ বাহিরে থাকি এজন্যই অনেকেই আমাকে দেখে না,আমার বিষয়ে স্যারের সাথে কথা বলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তা শিবলু উজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করলে ক্যামেরার অন্তরালে তিনিও বলেন রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা দেখিয়ে ডিউটি না করেই বেতন নিচ্ছেন কাউসার ।
কিন্তু এরপর হাজিরা খাতায় সাক্ষরের বিষয়ে জানতে একাধিক বার সাভার উপজেলা অফিসে গিয়ে পাওয়া যায়নি সমাজসেবা অফিসার সাবলী উজ্জামান কে।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে পিতা মোঃ আব্দুল কুদ্দুস সেন্টু ঠিকাদার রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে ক্ষমতা দেখিয়ে স্ত্রী ও সন্তান কে ডিউটি না করেই দীর্ঘদিন যাবত উঠিয়ে নিচ্ছেন সরকারি বেতন।
কাউসার দীর্ঘদিন ডিউটি না করে বেতন উঠালেও এবিষয়ে কোন ব্যবস্থাও গ্রহণ করেননি প্রশাসন, এতে করে তীব্র মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে কর্মচারীদের মধ্যে।
তবে এ বিষয়ে একাধিক পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও এখনো কোনো পদক্ষেপ নেননি উপজেলা প্রশাসন বিস্তারিত থাকছে তৃতীয় পর্বের।