এরই জেরে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আব্বাস খোন্দকার পক্ষের লোকজন শ্রীপুর গ্রামে রেজাউলের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। পরে রেজাউলের লোকজনও প্রতিরোধের চেষ্টা করলে দুই পক্ষে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। সবশেষ পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
(মাগুরা সংবাদদাতা: আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাগুরার শ্রীপুরে সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিএনপির দুই গ্রুপ। এতে অন্তত ৩০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে শ্রীপুর বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরজ করছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
আহতরা হলেন, জাহিদুল ইসলাম(৪২), সেলিম মোল্লা (৪০), রশিদ মোল্লা (৪৫), দুলাল বিশ্বাস (৪৫), সামছুল মোল্লা (৪০), আলেক বিশ্বাস (৫৭), ওয়াসিম মোল্লা (৩৮), মামুন মিয়া (৪০), আকাশ (৩৮), মিরাজ (৪২), লাউন মোল্লা (৩৮), আবু মুসা (১৪), বাবু মোল্লা (৪৫), মওলা (৫৫), মনিরুল শেখ (৪৫), শফিক (৩৫), মারুফ (৪৫), জাহাঙ্গীরসহ (৪০) অন্তত ২৫ থেকে ৩০ জন।
আহতরা বর্তমানে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শ্রীপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এদের এক পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার আব্বাস উদ্দিন। অন্য পক্ষের নেতৃত্বে অপর সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুন্সী রেজাউল করিম। এ দ্বন্দ্বের জের ধরে এক সপ্তাহ আগে আব্বাস পক্ষের লোকজন রেজাউল পক্ষের একজনকে শ্রীপুর বাজারে মারধর করে।
পরে রোববার বিকেলে রেজাউল করিম দলবল নিয়ে আব্বাস পক্ষের লোকজনকে ধাওয়া করে।
এরই জেরে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আব্বাস খোন্দকার পক্ষের লোকজন শ্রীপুর গ্রামে রেজাউলের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। পরে রেজাউলের লোকজনও প্রতিরোধের চেষ্টা করলে দুই পক্ষে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। সবশেষ পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইদ্রিস আলী জানান, খবর পেয়ে সকাল থেকেই শ্রীপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। পুলিশের হস্তক্ষেপেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে এলাকায় এখনও উত্তেজনা রয়েছে। সংঘাত এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।