ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়,মহিলাটির স্বামীর নাম আবু তাহের সুজন(৪০)।সে দীর্ঘদিন বিএনপি'র বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দের সাথে কাজ করে আসছে। অনেকটা সহজ সরল সুজনকে দিয়ে ফেনী জেলা বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ তাকে ব্যবহার করেছে।বিভিন্ন অপকর্মের সাথে তাকে জড়াতে বাধ্য করেছে।এতে করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মামলা হয়েছে তার নামে।
বিশেষ প্রতিনিধি: পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তারকৃত অসুস্থ স্বামীকে ছাড়াতে আত্মহত্যার ঘোষণা দিয়েছেন ফেনী সদরের লালপুরে বসবাসরত এক নারী।
গতকাল ফেসবুক লাইভে এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এই ঘোষণা দেন এক অসহায় নারী।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়,মহিলাটির স্বামীর নাম আবু তাহের সুজন(৪০)।সে দীর্ঘদিন বিএনপি’র বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দের সাথে কাজ করে আসছে। অনেকটা সহজ সরল সুজনকে দিয়ে ফেনী জেলা বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ তাকে ব্যবহার করেছে।বিভিন্ন অপকর্মের সাথে তাকে জড়াতে বাধ্য করেছে।এতে করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মামলা হয়েছে তার নামে।
সুজনের স্ত্রী জানান,ফেনী জেলা বিএনপি’র যুগ্ন আহ্বায়ক এম এ খালেক দীর্ঘদিন তার স্বামীকে বিভিন্ন অপকর্মে জড়াতে বাধ্য করেছে। মহিলাটি জানান, তার সহজ সরল স্বামীকে দিয়ে এম এ খালেক এবং তার অনুসারীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের সাথে সুজনকে জড়াতে বাধ্য করেছে। অথচ তারা ছিলো ধরাছোঁয়ার বাইরে। একটা সময় পরিবারের অনুরোধে সুজন অভিযুক্ত এম এ খালকের সংঘ ত্যাগ করে ফেসবুকে তার কুকীর্তি গুলো তুলে ধরেন। সুজনের স্ত্রী জানান, এটাই তার কাল হয়ে দাঁড়ায়।তার স্ত্রী বলেন,গত সপ্তাহে এম এ খালেক এবং তার মাস্তান বাহিনী সুজনকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করে এতে সুজনের মাথা ফেটে যায়,হাটুর নিচের অংশে প্রায় দ্বিখন্ডিত হয়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই সুজন লুটিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সুজনকে হাসপাতাল নেওয়া হলে চিকিৎসকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সুজন কিছুটা সুস্থ বোধ করলে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয় বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী।
তিনি জানান পরদিন গভীর রাতে সুজনকে পুলিশ এসে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। অভিযোগ করে সুজনের স্ত্রী বলেন প্রশাসন এমএ খালেক এবং তার অনুসারীদের প্ররোচনায় পুরনো মামলার ইস্যু দেখিয়ে অসুস্থ সুজনকে গ্রেফতার করে।এমতাবস্থায় সুজনের অসহায় স্ত্রী সুজনকে জামিন দেয়া না হলে দুই কন্যা সহ আত্মহত্যার ঘোষণা দেন। এ বিষয়ে ফেনী সদরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসুজ্জামান কে ফোন কলে জানতে চাইলে তিনি বলেন,সুজন তার ওপর হামলার ব্যাপারে থানায় কোন লিখিত অভিযোগ করেনি,লিখিত অভিযোগ পেলে সে যেই হোক আমরা তার বিরুদ্ধে আআইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
ঢাকা (পল্টনের) বিএনপি নেতা,সাবেক যুবনেতা আবুল কালাম আজাদ জানান,ছেলেটির অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে অনেকে তাকে ব্যবহার করছে আবার সময় পুরে গেলে তাকে ছুঁয়ে ফেলে দিচ্ছে। এর পিছনের ইন্ধনকারীদের গ্রেফতার করা উচিত। তিনি আরো জানান,অসহায় পরিবারটিকে সব সময় তিনি আর্থিকভাবে সহায়তা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় অনেকেই বলছেন,সুজনের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা রয়েছে যার পেছনের হোতা হচ্ছেন এম এ খালেক সহ বিএনপির ঊর্ধ্বতন ফেনী জেলার অনেক নেতৃবৃন্দ।অবিলম্বে তারা প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন।