• ৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাতা ও রেশন চালুর দাবিতে অর্থ উপদেষ্টার কক্ষের সামনে কর্মচারীদের অবস্থান

Mofossal Barta
প্রকাশিত মে ১৯, ২০২৫, ২০:০৬ অপরাহ্ণ
ভাতা ও রেশন চালুর দাবিতে অর্থ উপদেষ্টার কক্ষের সামনে কর্মচারীদের অবস্থান

সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের নেতৃত্বে একটি মিছিল নতুন নির্মিত অর্থ মন্ত্রণালয়ের ১১ নম্বর ভবনের দিকে আসতে থাকেন। এসময় তারা সচিবালয় ভাতা ও রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাদের মিছিলে নেতৃত্ব দেন সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর। এসময় সংগঠনের অন্যান্য নেতারা সঙ্গে ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

অনলাইন ডেস্ক:  ভাতা ও রেশন চালুর দাবিতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে দাবি পূরণে অর্থ উপদেষ্টার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে স্থান ত্যাগ করেন তারা। তবে ১০ দিন পর দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচিরও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের নেতৃত্বে একটি মিছিল নতুন নির্মিত অর্থ মন্ত্রণালয়ের ১১ নম্বর ভবনের দিকে আসতে থাকেন। এসময় তারা সচিবালয় ভাতা ও রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাদের মিছিলে নেতৃত্ব দেন সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবীর। এসময় সংগঠনের অন্যান্য নেতারা সঙ্গে ছিলেন।

কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্লোগান দিতে দিতে ভবনের তৃতীয় তলায় অর্থ উপদেষ্টার অফিস কক্ষের সামনে এসে অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে তারা বসে পড়েন। এসময় অর্থ উপদেষ্টা কক্ষে অবস্থান করছিলেন।

কর্মচারীরা জানান, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত তারা এ স্থান থেকে যাবেন না। প্রয়োজনে সারা রাত বসে থাকবেন। এসময় তারা স্লোগান দেন আমাদের দাবি মানতে হবে, মানতে হবে। সচিবালয় ভাতা ও রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

এরপর অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবীরসহ অন্য নেতারা বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে অর্থ মন্ত্রণালয় ত্যাগ করেন। পরে নিচে ৭ নম্বর ভবনের সামনে তিনি বক্তব্য দেন।

বাদিউল কবীর বলেন, সচিবালয়ে রেশন ও ভাতার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। সমাবেশ, আবেদন, নিবেদন, ব্যক্তিগত যোগাযোগ, ডকুমেন্টস শো, ডকুমেন্টস সাপোটিং পেপারসহ সবকিছু নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। সেটা সেই পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিল। উপদেষ্টা পর্যন্ত সে আলোচনা পৌঁছেনি।

তিনি বলেন, আজ আপনাদের সহযোগিতায় অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। উপদেষ্টা বলেছেন, সচিব আমাকে এ বিষয়ে জানাননি। আমি আপনাদের সব কথা শুনেছি। আমাকে একটু সময় দিন ১০ থেকে ১২ দিন। আমি এ বিষয়টা কেবিনেটে তুলবো। আজই অর্থ সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডেকে বিষয়টা পর্যালোচনা করবো এবং কেবিনেটে উঠাবো। আপনাদের জন্য যদি কোনো সুখবর আনতে পারি। এ ক্ষেত্রে আমার পক্ষ থেকে কোনো প্রকার ত্রুটি থাকবে না।

বাদিউল কবির বলেন, আমি তাকে বলেছি খাদ্য উপদেষ্টা আমাদের কথা শুনে সুপারিশ পর্যন্ত পাঠিয়েছে। অথচ সচিবসহ তার পুরো টিম কর্মচারীদের তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে বেছে নিয়েছে। উপদেষ্টা আমাদের কাছে ১০-১২ দিনের সময় চেয়েছেন। আমরা সে সময়টা দেবো। ঠিক ১০ দিন পর আমাদের দাবি আদায় না হলে আমরা কঠোরভাবে এখানে নামবো। ১০ দিন পর আপনাদের সঙ্গে পরামর্শ করে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।