• ২৮শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুমিল্লায় জোড়া খুনের মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

Mofossal Barta
প্রকাশিত জুলাই ১৫, ২০২৪, ১৮:৪৫ অপরাহ্ণ
কুমিল্লায় জোড়া খুনের মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সংবাদটি শেয়ার করুন....

আর.জে রিমা , কুমিল্লা ব্যুরো চীফ

কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার মোঃ গিয়াস উদ্দিন ও মোঃজামাল হোসেন নামের চাচাতো ও জ্যেঠাতো ২ ভাইকে ধারালো দা, ছেনি ও হকিস্টিক দ্বারা কুপিয়ে হত্যা মামলায় ৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় ঘোষণা দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা পিপি অ্যাডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ধনাইতরী গ্রামের মোঃ হাজী আতর আলির ছেলে তোফায়েল আহমেদ তোতা (৩৮), মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে কামাল হোসেন (৪৮), হাজী আব্দুর রহিমের ছেলে আলমগিধফর হোসেন (৩৮), মোঃ ফরিদ উদ্দিনের ছেলে মোঃ মামুন (২৮), মৃত আনোয়ার আলির ছেলে মোঃ বাবুল (৩৫) ও মৃত আনোয়ার আলির হারুনুর রসিদ (৪৫)। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ধনাইতরীর মৃত জুনাব আলির ছেলে হায়দার আলী (৬৫), হাজী আব্দুর রহিমের ছেলে আ. মান্নান (৩২), মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে জামাল হোসেন (৪৫), মৃত আ. খালেকের ছেলে আবুল বাশার (২৮), মৃত আ. রশিদের ছেলে জাকির হোসেন, মৃত আ. খালেকের ছেলে আ. কাদের (৩২) ও এজাহার বহির্ভূত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি একই গ্রামের মৃত ইউসুফ মিয়ার ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৪৫)।

মামলায় খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, একই গ্রামের মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ আমান (৪০) ও উপজেলার গ্রাম চৌয়ারার জুনাব আলী মোঃ সেলিম মিয়া (৫০)। জেলা পিপি জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ২০১৬ সালে ১২ আগস্ট রাতে সদর দক্ষিণ উপজেলার ধনাইতরি এলাকায় আসামির পক্ষের লোকজন গিয়াসউদ্দিন ও জামাল হোসেনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় নিহত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে অজ্ঞাত আসামিসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারকার্যে আসামিদের জবানবন্দি এবং ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।