• ৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে ক্ষমতার দাপটে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ ক্লিনিক স্বাস্থ্যসেবা হুমকিতে

Mofossal Barta
প্রকাশিত মে ২৫, ২০২৪, ১৫:৪৯ অপরাহ্ণ
যশোরে ক্ষমতার দাপটে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ ক্লিনিক স্বাস্থ্যসেবা হুমকিতে

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":false,"containsFTESticker":false}

সংবাদটি শেয়ার করুন....

ব্যুরো প্রধান খুলনা
মোঃ বাবুল সানাঃ

বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পরেও যশোরের মনিরামপুরে কপালিয়া নামক স্থানে স্থানীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যোগসাজসে বহাল তবিয়াতে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ কপালিয়া ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এমনটিই অভিযোগ উঠেছে এলাকাবাসীর।
এই অনিবন্ধিত ভুয়া ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ডাক্তার নার্সবিহীন চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসা সেবার নামে রোগীদের সাথে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করে আসছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে এসমস্ত চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হলেও থেমে থাকছে না তাদের প্রতারণার কার্যক্রম।

এসব অবৈধ ক্লিনিকে ভুয়া চিকিৎসক, অনভিজ্ঞ নার্স, অদক্ষ আয়া দিয়ে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। জানা যায় এই ক্লিনিকের মালিক নাকি ৪০ জন, এই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ পারভেজ যার সাথে কথা বললে তিনি বলেন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ডাক্তার শামিমউজ্জামানকে এনে তারা ক্লিনিক উদ্বোধন করেছেন। ডাক্তার ও ডিপ্লোমাধারী নার্সের কথা জিজ্ঞেস করলে বলেন কল করলেই ডাক্তার আসে, এমনি ট্রেনিং প্রাপ্ত নার্স আছে। তাছাড়া তিনি বলেন আমরা মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য প প কর্মকর্তা তন্ময় কুমার বিশ্বাসের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই ক্লিনিক চালাচ্ছি। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য প প কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন এ ক্লিনিক এর বিষয়ে আমার জানা নেই খোঁজ নিয়ে আমি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এদিকে অত্র অঞ্চলের সচেতন মহল বলছেন এ সমস্ত অবৈধ ও অনিয়মতান্ত্রিকভাবে গড়ে ওঠা হাসপাতালে প্রতিদিনই ঘটছে নানা অঘটন। এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিপোর্টে একজন প্যাথলজিস্ট ডাক্তার এর সই সিল নকল করে রিপোর্ট পেশ করা হয় বলে জানা যায়।এ সমস্ত কারণে ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে রোগীরা বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এমনকি এ সমস্ত অনেক প্রতিষ্ঠানের তথ্যও নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। এমন অবস্থায় দেশের অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে বারবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, নির্দেশনা দিয়ে অভিযান পরিচালনা করলেও কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর আবার পুনরায় তারা চিকিৎসা সেবার নামে প্রতারণা শুরু করে দেয় সাধারণ রোগীদের সাথে। যার বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে যশোরের মনিরামপুরের কপালিয়া ক্লিনিকে এ বিষয়ে যশোর সিভিল সার্জন বিপ্লব বাবুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমরা লোক পাঠিয়ে বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছি আমাদের কথা না শুনলে অভিযান পরিচালনা করে অত্র ক্লিনিকটিকে সিলগালা করে দেয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে তার কোন প্রয়োগ দেখতে পাচ্ছে না এলাকাবাসী তারা জানান গত ২২ তারিখ ওখানে দুজন প্রসূতির অপারেশন হয়েছে যার মধ্য একজনের নাম হীরা বেগম বাড়ি চেচুড়ি এবং ২৪ তারিখ শুক্রবার আরো একজন রোগীর অপারেশন হয়েছে। এ সমস্ত রোগীরা ২৪ ঘন্টা ডাক্তার ও ডিপ্লোমাধারি নার্স না থাকার কারণে পড়ছে ঝুঁকির ভিতর। এলাকাবাসী এ বিষয়ে আরো বলেন মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের কাছ থেকে টিকিটের অতিরিক্ত মূল্য বাবদ দুই বছরে ৩২ লক্ষ টাকা আদায় করার জন্য একাধিক পত্রপত্রিকায় নিউজ হয়েছে সে একজন অসাধু কর্মকর্তা তারা বলছেন এই ক্লিনিক থেকেও হয়তো মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চালানোর অনুমতি দিয়েছে।
এ বিষয়ে সমাজের সচেতন মহল ও বিশিষ্ট জনেরা বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে অপ চিকিৎসায় ঝরে যাবে সমাজের অগণিত নিষ্পাপ প্রাণ অতএব এ ধরনের ভুয়া ও অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে দেশের সাধারণ মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির হাত থেকে বাঁচাতে সচেষ্ট হতে হবে । তবে পাশাপাশি এ প্রশ্নও রয়েছে, তাদের কর্তৃপক্ষের চোখের সামনে এসব অবৈধ চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র কীভাবে গড়ে ওঠে।
সমাজের বিশিষ্টজনদের দাবি অতিসত্বর এ সমস্ত ভুয়া ও অনিবন্ধিত ক্লিনিক এর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান।