• ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূল অতিক্রম করেছে, এখন খুলনার কয়রার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচেছ

Mofossal Barta
প্রকাশিত মে ২৭, ২০২৪, ১১:০৪ পূর্বাহ্ণ
ঘূর্ণিঝড় রেমাল উপকূল অতিক্রম করেছে, এখন খুলনার কয়রার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচেছ
সংবাদটি শেয়ার করুন....

অনলাইন ডেস্কঃ

প্রবল ঘূর্ণিঝড় “রেমাল” উত্তর অভ্যন্তরীণ দিকে অগ্রসর হয়েছে, উপকূল অতিক্রম করে এখন খুলনার কয়রায় অবস্থান করছে, সর্বশেষ তথ্য অনুসারে।

এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হবে এবং ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে ২-৩ ঘন্টার মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে দুর্বল হয়ে পড়বে।

আজ সকালে আবহাওয়া অফিসের ১৮তম বুলেটিনে বলা হয়েছে, তীব্র ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৯০ কিলোমিটার যা দমকা, ঝড়ো হাওয়ায় ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পায়রা ও মংলা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালখাটি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে বলে আবহাওয়াবিদ মোঃ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত বুলেটিনে বলা হয়েছে।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৯ নম্বর মহা বিপদসীমার মধ্যে রাখতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম জেলার নদীবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর নদী বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে নদীপথে মহা বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সংকেত নং ৪।

প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড় এবং খাড়া চাপ গ্রেডিয়েন্টের প্রভাবের প্রভাবে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজারের নিচু এলাকা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরাঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাভাবিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের জোয়ারের উপরে ৮-১২  ফুট উচ্চতার বায়ু চালিত ঢেউ দ্বারা।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

সূত্রঃ দ্য ডেইলি স্টার