• ৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি ডিগ্রী কলেজের ভাবমুর্তি রক্ষার আহবান শিক্ষক-কর্মচারিদের

Mofossal Barta
প্রকাশিত নভেম্বর ১৮, ২০২৪, ১০:০১ পূর্বাহ্ণ
আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি ডিগ্রী কলেজের  ভাবমুর্তি রক্ষার আহবান শিক্ষক-কর্মচারিদের

আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি ডিগ্রী কলেজের ভাবমুর্তি রক্ষার আহবান শিক্ষক-কর্মচারিদের

সংবাদটি শেয়ার করুন....

বাদল আহাম্মদ খান নিজস্ব প্রতিবেদক, আখাউড়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া শহীদ স্মৃতি সরকারি ডিগ্রী কলেজের ভাবমুর্তি রক্ষার আহবান জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও কর্মচারিরা। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক মেয়র তথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজলের বিরুদ্ধে ক্ষমতার প্রভাব খাটানোরও অভিযোগ করা হয়।

উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি শেখ সোহেল রানাকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় ওই কলেজে কর্মরত তার প্রভাষক স্ত্রীর ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় বলা হয়। সাবেক ছাত্রদল নেতার স্ত্রী ফয়জুন্নেছা লিজা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, গ্রেপ্তার হওয়া তার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।

একইসঙ্গে একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ক্ষমতায় আসার তিন বছর আগে ২০১১ সালে আমার নিয়োগ হয়। অথচ ওই গণমাধ্যমে আমার স্বামী আইনমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রভাব খাটিয়ে এ নিয়োগ বলে ডাহা মিথ্যাচার করা হয়েছে। এছাড়া আমার স্বামী আওয়ামী পদে ছিলেন না কিংবা প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন না। এ নিয়ে লেখালেখি অপপ্রচারের সামিল, মিথ্যাচার, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।’ কলেজ জাতীয়করণ ও শিক্ষকদের বিভিন্ন কাজে শেখ সোহেল রানা নিস্বার্থভাবে কাজ করেছেন বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে কলেজের ২৩ জন শিক্ষক-কর্মচারি স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ পত্রে উল্লেখ করা হয়, একটি গণমাধ্যমের খবরে কলেজকে জড়িয়ে যে কথা লেখা হয় সেটি মিথ্যা ও বানোয়াট। কলেজের সঙ্গে শেখ সোহেল রানার কোনো সম্পর্ক ছিলো না। আর্থিক লেনদেনের তো প্রশ্নই আসে না। কলেজের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতে কেউ এ বিষয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকতে পারে। এছাড়া গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রভাষক ফয়জুন্নেছার নিয়োগ বিষয়ে লেখা তথ্যটি মিথ্যা। এ ধরণের মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে প্রভাষক ফারুক হোসেন অভিযোগ করেন, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়ে সাবেক আইনমন্ত্রী ও সাবেক মেয়র প্রভাব খাটিয়েছেন। এখন সোহেল রানাকে নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে। একজন শিক্ষকের স্বামী হিসেবে পাওয়া দাওয়াত ও কলেজ ভবন নির্মাণের ঠিকাদারি কাজের জন্য সোহেল রানার আসাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হচ্ছে।