বাদল আহাম্মদ খান নিজস্ব প্রতিবেদক, আখাউড়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের রানিয়ারা গ্রামে একটি মোবাইল বিক্রির টাকাকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর হাতে নিহত হয়েছে একই গ্রামের মো:মহসিন(২৪)। হত্যার ১১ দিন পর হত্যাকারী তথ্য অনুসারে নিহত মহসিনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন তার সার্বিক তত্ত্বাবধানে নিখোঁজ জিডি নং ৯৬৭, তাং ১৮ডিসেম্বর ২০২৪ ইং সংক্রান্ত ভিকটিম উদ্ধারের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসআই (নিঃঅস্ত্র )/মোঃ কামাল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ডিজিষ্ট ভিকটিম মোঃ মহসিন পিতা-আয়েত আলী, সাং-রানীয়ারা মধ্যপাড়া, ইউ/পি-৮নং কুটি, থানা- কসবা, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ব্যবহৃত মোবাইলের কল লিষ্ট পর্যালোচনা করেন। বিবাদী রাসেল মিয়া, পিতা-মন মিয়া, সাং-বিষ্ণুপুর(পশ্চিম পাড়া), থানা-কসবা, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর অবস্থান শনাক্তপূর্বক অভিযান পরিচালানা করা হয়। গত-২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ইং তারিখ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এর বাকলিয়া থানা কালঅ মিয়া বাজারের ওভার ব্রীজ এলাকা হইতে ঘাতক রাসেলকে ধৃত করেন। আজ ২৬ ডিসেম্বর ধৃত আসামী রাসেলের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে ভিকটিম মহসিন এর মৃতদেহ অর্ধগলিত অবস্থায় ঘটনাস্থল বিষ্ণপুর জনৈক আবুল কালাম এর পরিত্যক্ত টিন সেড ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য যে, হত্যা করে পরের দিন হত্যাকারী রাসেল কর্ণফুলি ট্রেইনে চট্রগ্রামে গিয়ে আত্বীয়ের বাসা অবস্থান করেছিলেন। প্রযুক্তি আর গোপন সংবাদের ভিওিতে অবশেষে রাসেলকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিহতর লাশ উদ্ধার সহ হত্যা কান্ডের সততা স্বীকার করেন বলে পুলিশ জানান।
গ্রেফতার ও পলাতক আসামী হলেন রাসেল মিয়া(২৮), পিতা-মন মিয়া, সাং-বিষ্ণুপুর(পশ্চিম পাড়া), থানা-কসবা, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং পলাতক আসামী মোঃ রিপন(২৭), পিতা-মৃত নজরুল ইসলাম, সাং-বিষ্ণুপুর(দীঘির পাড়া), ওয়ার্ড নং-০৭, থানা-কসবা, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া। নিহত মহসিনের বাবা বৃদ্ধ আয়েত আলী ছেলে মহসিন হত্যার বিচার সহ আসামীদের ফাঁসির দাবী করেন।