এই প্রসঙ্গে ছত্তিশগড় থেকে টেলিফোনে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কমল শুক্লা প্রথম আলোকে বলেন, এ ধরনের ঘটনা যখন ঘটে, তখন সাধারণত দেখা যায় যে মাওবাদী অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর ঘোরাফেরার জন্য যে নির্দেশাবলি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তৈরি করেছে, তা মানা হয়নি। এবার ঘটনার তদন্তের পর বোঝা যাবে, নির্দেশাবলি মানা হয়েছিল কি না।
এই সাংবাদিক বলেন, অনেক সময়ই দেখা যায়, হামলায় নিরাপত্তাকর্মীদের মৃত্যু নিয়ে সরকার খুব একটা মাথা ঘামায় না। কারণ, হিসেবে তিনি বলছেন, বস্তারের এই আদিবাসী–অধ্যুষিত অঞ্চলে সহিংসতায় পুলিশ ও মাওবাদীদের যাঁরা মারা যান, তাঁরা আদিবাসী এবং স্থানীয় মজুর বা কৃষকের সন্তান। কোনো উচ্চবিত্ত, উচ্চবর্ণের পরিবারের সদস্য বা রাজনীতিবিদের ছেলেমেয়েরা মাওবাদী অঞ্চলের সংঘর্ষে মারা যান না। ফলে পুলিশ বা মাওবাদী যেই মারা যাক—কেউই শেষ পর্যন্ত খুব একটা মাথা ঘামায় না।