• ৬ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চাঞ্চল্যকর সীমা হত্যা মামলার অন্যতম আসামী রেজাউল গ্রেফতার ।

Mofossal Barta
প্রকাশিত জানুয়ারি ১৪, ২০২৫, ১৬:৫৩ অপরাহ্ণ
চাঞ্চল্যকর সীমা হত্যা মামলার অন্যতম আসামী রেজাউল গ্রেফতার ।

চাঞ্চল্যকর সীমা হত্যা মামলার অন্যতম আসামী রেজাউল গ্রেফতার ।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

প্রতিনিধি মোঃ শুক্কুর আলী: সাভারের কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী স্বপন কে জনৈক সীমা নামক একজন নারী স্বপনকে ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ডিবি (উত্তর), ঢাকা জেলা পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়। এতে স্বপন সীমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়। জামিনপ্রাপ্ত হয়ে পরবর্তীতে স্বপনের নেতৃত্বে সাইফুল, রেজাউল, আসিফ,তাইরান পরিকল্পনা করে যে সুযোগ বুঝে সীমাকে হত্যা করবে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বপন রেজাউলকে দিয়ে তার বাড়ীর পার্শ্বে একতলা বিল্ডিং এর পিছনে ০৬/০৭ ফুটের একটি গর্ত করে রাখে। তারও দেড় মাস পর স্বপনের নির্দেশে আসিফ সকল আসামীদেরকে একত্রিত করে এবং সীমাকে ০২/০৬/২৪ খ্রি. তারিখ ০৭.৩০ ঘটিকায় মুন্নিদের বাসার সামনে পাওয়ামাত্রই পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী উক্ত আসামীগণ স্বপনের নেতৃত্বে সীমাকে অপহরন করে মারধর করিলে সীমা অজ্ঞান হয়ে যায়। তখন আসামীরা তাদের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী পূর্বের খনন করা গর্তের মধ্যে জীবন্ত সীমাকে মাটিচাপা দেয়। পরবর্তীতে সীমাকে না পাওয়া গেলে তার মেয়ে বাদী হয়ে স্বপন, আসিফ, সাইফুল ও রেজাউলকে আসামী করে সাভার থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করেন। সাভার মডেল থানার মামলা নং-১৬, তারিখ-০৪/০৬/২৪ খ্রি. ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এবং (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৩০। গত ০৬/০৬/২০২৪ খ্রি. তারিখ সাভার থানা পুলিশ ও ডিবি (উত্তর), ঢাকা জেলা পুলিশের একটি যৌথ আভিযানিক দল প্রথমত সাইফুলকে গ্রেফতার করে। ধৃত আসামী সাইফুলের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে একতলা বাড়ীর পাশে ০৪ ফুট মাটির নিচ হইতে সীমার লাশ উত্তোলন করা হয় এবং অপহরন মামলায় ৩০২/৩৪ পেনাল কোড সংযুক্ত হয়। মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে ০৭/০৬/২৪ খ্রি. তারিখ উক্ত মামলার তদন্তভার ডিবি (উত্তর), ঢাকা জেলার উপর ন্যাস্ত করা হইলে ডিবি (উত্তর), ঢাকা জেলা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ০৮/০৬/২৪ খ্রি. আসামী আসিফ ও তাইরানকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে। তখন ধৃত আসামীরা বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারায় মামলার ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ডিবির একটি চৌকষ দল ১১/০৬/২৪ খ্রি. তারিখে উক্ত হত্যা মামলার পরিকল্পনাকারী এবং মুল হোতা আসামী স্বপনকে একটি বিদেশী পিস্তল ও ২০০ গ্রাম হেরোইন সহ গ্রেফতার করে (যাহা সংক্রান্তে অস্ত্র আইন ও মাদক আইনে ধামরাই থানায় পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়) । আসামী স্বপনকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারায় পূর্ন ঘটনার স্বীকারোক্তি সহ উক্ত হত্যাকান্ডে নেতৃত্ব প্রদানের বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন। কিন্তু উক্ত মামলার অপর আসামী রেজাউল পলাতক থাকে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উক্ত পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের জন্য তদন্ত অব্যাহত রাখে।

তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা জেলা পুলিশের অভিভাবক জনাব মোঃ আনিসুজ্জামান, পুলিশ সুপার, ঢাকা ও সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন মহোদয়ের নির্দেশনায় ডিবি (উত্তর), ঢাকা জেলার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জালাল উদ্দিন এর তত্ত্বাবধানে এস আই (নিঃ) মোঃ জুয়েল মিয়ার একটি চৌকষ টিম সিরাজগঞ্জ জেলার সলংগা থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অদ্য ১৪/০১/২০২৫ খ্রিস্টাব্দ তারিখ মধ্য রাতে আসামী ১। মোঃ রেজাউল করিম শেখ (৩৫), পিতা-মৃত আবুল শেখ, মাতা-মোছাঃ সামনা খাতুন, সাং-রামপুর, পোঃ সাহেবগঞ্জ, থানা-সলংগা, জেলা-সিরাজগঞ্জ কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন। উক্ত আসামীকে গ্রেফতার করিয়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে স্বীকারোক্তি প্রদান করেন। উক্ত আসামীকে অদ্য ১৪/০১/২০২৫ খ্রিস্টাব্দ তারিখ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।