• ২৮শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৩ই ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীর পবায় ফসলের সঙ্গে শত্রুতা, কেটে ফেলা হলো কৃষকের ক্ষেতের পটল গাছ

Mofossal Barta
প্রকাশিত মার্চ ১৭, ২০২৫, ২০:০৮ অপরাহ্ণ
রাজশাহীর পবায় ফসলের সঙ্গে শত্রুতা, কেটে ফেলা হলো কৃষকের ক্ষেতের পটল গাছ

রাজশাহীর পবায় ফসলের সঙ্গে শত্রুতা, কেটে ফেলা হলো কৃষকের ক্ষেতের পটল গাছ

সংবাদটি শেয়ার করুন....

রাজশাহী প্রতিনিধি: পবা উপজেলার সিন্ধুরকুসুম্বী পাইকপাড়া গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে এক কৃষকের দশ শতক জমির পটলের গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের অভিযোগ প্রতিপক্ষের লোকজন বুধবার (১২ মার্চ) রাতের আধারে নওহাটা পৌরসভার সিন্ধুরকুসুম্বী পাইকপাড়া গ্রামের মাঠের এসব পটলের গাছ কেটে নষ্ট করেছে। এতে প্রায় এক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি করেছেন এই কৃষক।

এ ঘটনায় পাইকপাড়া গ্রামের মৃত রূপভানের ছেলে কবির হোসেন ও সিজানসহ অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয়জনের বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক হলেন- নওহাটা পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সিন্ধুরকুসুম্বী পাইকপাড়া এলাকার মৃত আলহাজ্ব ইমাজ উদ্দিন এর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই প্রতিপক্ষ কবির হোসেন ও সিজান লোকজন নিয়ে রাতের আধারে জমির পটলের গাছ কেটে নষ্ট করেছে। জমির সব গাছে পটল ছিল কিন্তু নিমিষেই সব শেষ করে দিয়েছে। এখন বাজারে পটলের দাম অনেক বেশি। এতে প্রায় এক লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে তার। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়য়েছে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক।

লিখিত অভিযোগে কৃষি মামুন আরও জানান, ‘পূর্বের শত্রুতার জেরে গত বুধবার রাতে কবির হোসেন ও সিজান লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করে। বাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পাড়াপ্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনদের সহযোগিতায় গুরুতর জখমের হাত থেকে বেঁচে যান তিনি। এসময় আমাকে মারধর করতে না পেরে, বিবাদী কবির হোসেন ও সিজান প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। সকালে জমিতে গিয়ে দেখি আমার সর্বনাশ করেছে। দশ শতক জমির পটলের গাছগুলো কেটে দিয়েছে। এর ফলে আমার আনুমানিক এক লাখ টাকা ক্ষতি সাধন হয়েছে’।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ইউসুফ আলী বলেন, এই এলাকায় মামুনের সঙ্গে কারো কোনো দ্বন্দ্ব দেখিনি। তিনি এই পটলের জমিতে অনেক পরিশ্রম করেছে, যা আমরা এলাকাবাসী চোখে দেখেছি। এটা অমানবিক, এই কাজে শুধু এই কৃষকের না দেশের ক্ষতি করা হয়েছে। এই ধরনের অমানুষদের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।

পবা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘ফসলের সঙ্গে শত্রুতার ঘটনাটি অমানবিক। এমন ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’ এ জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফারুক হোসেন জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি এবং লিখিত অভিযোগও পেয়েছি। এই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত কবির হোসেন ও সিজান বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। তাদের মোবাইল ফোনে পাওয়া না যাওয়ায়, বক্তব্য পাওয়া যায়নি।