ফ্রান্সের প্যারিস থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ফ্লাই এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছান।
২০০৬ সালে নোবেল জয়ের পর অধ্যাপক ইউনূসকে ঘিরে যে বাঁধ ভাঙা আনন্দের জোয়ার বয়েছিল, দেড় যুগ পরে সেই উচ্ছ্বাসের আবহে ফিরল দেশে।
বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে অধ্যাপক ইউনূসকে অভ্যর্থনা জানাবেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন ও নৌ বাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান।
সরকার পতনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন যে শিক্ষার্থীরা, তাদের কয়েকজন সমন্বয়কও উপস্থিত ছিলেন বিমানবন্দরে।
আরো অনেক শিক্ষার্থী ফুল হাতে অপেক্ষা করছিরেন বিমানবন্দরের বাইরের রাস্তায়। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও অনেকে দাঁড়িয়েছিলেন ব্যানার হাতে।
বিমানবন্দর থেকে অধ্যাপক ইউনূস প্রথমে যাবেন মিরপুরের ইউনূস সেন্টারে। সামরিক প্রোটোকলে নিরাপত্তা দিয়ে তাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে তাকে সংবর্ধনা জানাচ্ছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
ছাত্র জনতার বিপুল গণ আন্দোলনে শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের সরকারের পতনের পর চার দিন ধরে সরকার নেই দেশে। সংবিধানে এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা না থাকলেও নতুন নির্বাচনের প্রয়োজনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীও তাতে সমর্থন দিচ্ছে।
এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছিল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাতে সম্মতি দেন।
সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান রোববার বলেছেন, এ সরকারের উপদেষ্টা হতে পারে ১৫ জনের মত। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় বঙ্গভবনে তাদের শপথ হবে।
দেশের পরিস্থিতি যখন টালমাটাল, অলিম্পিকের আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দিতে অধ্যাপক ইউনূস ছিলেন প্যারিসে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নিতে বাংলাদেশ সময় বুধবার রাতে প্যারিস থেকে দেশের পথে রওনা হন তিনি।
গত সরকারের সময়ে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে ৬ মাসের যে সাজা দেওয়া হয়েছিল, বুধবার তা বাতিল করেছে শ্রম আপিল আদালত।
