• ৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়কে ছয় লেনের কাজ এগিয়ে চলছে গাড়ি চলবে ১০০ কি.মি গতিতে

Mofossal Barta
প্রকাশিত ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ১৭:১২ অপরাহ্ণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়কে ছয়  লেনের কাজ এগিয়ে চলছে গাড়ি চলবে ১০০ কি.মি গতিতে

নবীনগর ও কসবায় বিভিন্ন রকমের মাদকসহ তিন যুবক গ্রেপ্তার

সংবাদটি শেয়ার করুন....

বাদল আহাম্মদ খান নিজস্ব প্রতিবেদক, আখাউড়া: ঢাকা থেকে সিলেটের তামাবিল পর্যন্ত ছয় লেনের সড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অংশে কাজ চলছে দ্রæত গতিতে। বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার পরই কাজের গতি বাড়ানো হয়েছে। সড়কটি দুই লেন থেকে বেড়ে ছয় লেনে উন্নীত হলে এতে দুর্ঘটনা কমার পাশাপাশি চলার গতি বাড়বে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ সড়ক দিয়ে ১০০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলতে পারবে। এছাড়া উভয় পথে চলার আলাদা লেন থাকবে বলে দুর্ঘটনাও একেবারে কমে আসবে। সড়কটি মূলত এশিয়ান হাইওয়ের আদলে নির্মাণ করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আন্ডার পাস ও ওভার পাস থাকবে বলে পথচারিরাও নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবেন।
সড়কের ২১ কিলোমিটার অংশ পড়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ওই অংশ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৩শ’ কোটি টাকা। ২০২৩ সালের মে মাসে শুরু হয় সড়কটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশের নির্মাণ কাজ। মাঝখানে বর্ষা মৌসুমের কারণে চার মাস কাজ বন্ধ ছিলো। ২০২৮ সালের জুন নাগাদ প্রকল্পের কাজ শেষ হতে পারে।
ইতিমধ্যে প্রকল্পের নয় শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে জেলার সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া মোড় থেকে বিজয়নগর উপজেলার সাতবর্গ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অংশের মোট ২৩টি ব্রীজ-কালভার্টের পাইলিং কাজ শেষ হয়েছে। শেষ হয়েছে তিনটি কালভার্টের নির্মান কাজ।
এই সড়কে চলাচলকারী বাস চালক জলিল মিয়া ও মো. জামাল মনে করেন, সড়কটি বর্তমানে প্রয়োজনের তুলনায় সরু। এটি ছয় লেনে রূপান্তরিত হলে বিশেষ করে দুর্ঘটনা কমে যাবে। ঢাকা থেকে সিলেট পর্যন্ত যেতে সময়ও অনেক কম লাগবে।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মারগুব তৌহিদ জানান, এই সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। ওভারটেকিং ও বেশি বাঁক থাকার কারণে এমন হচ্ছে। সড়কটি ছয় লেনে উন্নীত হলে এসব সমস্যা আর থাকবে না বলে আশা করি।
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হেগো-মীর আক্তার জয়েন্টভেঞ্চার লিমিটেডের প্রকল্প ব্যাবস্থাপক প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, মহাসড়কটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে মোট ৩৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর থেকে সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার অংশের ৬০ ভাগ কাজ একই আদলে করছে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বাকি অংশে নয় ভাগ শেষ হয়েছে।
ঢাকা-সিলেট ছয়লেন নির্মান প্রকল্পের ব্যবস্থাপক (৩) এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আমিনুল এহসান জানান, এই সড়কে আমরা ডিজাইন স্পিড ধরা হয়েছে ১০০ কিলোমিটার। পর্যাপ্ত আন্ডারপাস ও ওভারপাস থাকবে পথচারি নিরাপদে পারাপারের জন্য। এ সড়কে বড় গাড়িগুলো তাদের লেনে চলবে, ছোট গাড়ি তাদের লেনে চলবে। বেশি বাঁকের জায়গাগুলোও সোজা করা হচ্ছে। যে কারণে দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে যাবে।