রাজউক মহাখালী জোন ৩/২ সহকারী অথরাইজড আল মামুনের সিন্ডিকেটে অসহায় সাধারণ মানুষ।
ক্রাইম রিপোর্ট: রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ( রাজউক)জোনাল অফিস- ৩, মহাখালী জোন ৩/২ এর সহকারী অথরাইজড অফিসার মামুনের সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি সাধারণ মানুষ। আল মামুন সিন্ডিকেট এতই শক্তিশালী যে সংবাদকর্মীরা ও তার সিন্ডিকেটের কাছে নিরাপদ নয় এবং রেহাই পায়নাই।
এ প্রতিবেদক কে স্হানীয়রা জানায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভবন নির্মাণের জন্য নিতে হয় রাজউকের অনুমোদন, নিয়ম মোতাবেক ভবন নির্মাণ হচ্ছে কিনা দেখভাল করার দায়িত্বে থাকে ইমারত পরিদর্শকগন। এই সহকারি অথরাইজড অফিসার মামুনের সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য ইমারত পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ, ইমারত পরিদর্শক সোলায়মান, সহ বেশ কয়েকজন ইমারত পরিদর্শক। ইমারত পরিদর্শক আবুল কালামের বিরুদ্ধে শাহআলী থানায় এক সাংবাদিক সাধারণ ডায়েরি করে এবং বিজ্ঞ আদালতে একটি সি,আর মামলা দায়ের করে যা বর্তমানে শাহআলী থানায় তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানা যায়।
সিন্ডিকেট প্রদান সহকারি অথরাইজড মামুনের নেতৃত্বে নতুন পুরাতন ভবনে নোটিশ বাণিজ্য করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে মামুন। জোন ৩/২ এর আওতাধীন বেশ কিছু অবৈধ ভবনের চূড়ান্ত নোটিশ থাকা সত্ত্বে ও মামুনের নেতৃত্বে ইমারত পরিদর্শক গন লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষের বিনিময়ে উচ্ছেদ প্রস্তাব দিচ্ছে না। মামুনের ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন চেয়ারম্যান, ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র সচিব গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বরাবরে অভিযোগের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদক অনুসন্ধানের স্বার্থে আল মামুনের মুঠো ফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে ও ১বার রিসিভ করে বলে এ বিষয়ে মুঠোফোনে কথা বলতে রাজি নয়। তিনি হুমকির সহিত এ প্রতিবেদক কে জানায় আপনি পারলে অফিসে আসেন প্রশ্ন আসে জোন ৩/২ এর সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য ইমারত পরিদর্শক সোলাইমানের কক্ষে একজন সংবাদকর্মী অনুসন্ধানে গেলে তাকে হাতুড়িপেটা করে বলে একাধিক সাংবাদিক ও সংবাদ কর্মীরা জানায় এ প্রতিবেদক কে। ঐ ঘটনার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে সাংবাদিক বৃন্দ। এ বিষয়ে ৩ মার্চ ২০২৫ খ্রীঃ অপরাধ সূত্র সহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদককে একাধিক সূত্র জানায় সহকারী অথরাইজড আল মামুন এর সিন্ডিকেটের কাছে অথরাইজড অফিসার ও পরিচালক জিম্মি হয়ে আছে। মামুনের সহায়তায় ইমারত পরিদর্শক গন অথরাইজড অফিসার ও পরিচালক কে গুরুত্ব দিচ্ছে না এই সিন্ডিকেটের ইমারত পরিদর্শক গন । দৈনিক আলোকিত প্রতিদিনের সাংবাদিক মাজেদুল ইসলাম সবুজ সিন্ডিকেট প্রধান আল মামুনকে অনুসন্ধানের স্বার্থে ফোন দিলে তাকেও একই কথা বলে যে কোন অভিযোগ থাকলে আমি তথ্য দিতে রাজি না। এ প্রতিবেদক অনুসন্ধানে জানতে পারে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার প্রধানের ৪০০ কোটি টাকার পিয়ন জাহাঙ্গীর আলম অবৈধভাবে সরকারি জায়গায় ভবন নির্মাণ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এ কাজে সহযোগিতা করে এই সহকারী অথরাইজড মামুনের নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেট ও নিজে তারাও কোটি কোটি টাকা নেয় জাহাঙ্গীরের কোম্পানি থেকে। এসব ভবনের বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা অভিযোগ দিলে অভিযোগের ভিত্তিতে নোটিশ দিয়ে সহকারি অথরাইজড মামুনের নেতৃত্বে এ সকল ভবন থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় মামুন সিন্ডিকেট। এ প্রতিবেদক তার অনুসন্ধানে অভিযোগগুলো সত্যতা খুঁজে পায় প্রতিটি অবৈধ ভবনে শপিং সুপার মল ও রকমারি রেস্তোরাঁ রয়েছে। এ সকল অবৈধ ভবন ও মার্কেট থোকে প্রতিমাসে ঘুষ নেয় মামুন সিন্ডিকেট। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরিদর্শক জানায় মামুন সিন্ডিকেট থেকে আমরা মুক্তি পেতে চাই এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন যাতে না হয় অত্র দপ্তরের ও মন্ত্রণালয়ের কতৃপক্ষের নিকট সাধারণ মানুষের দাবি এই সিন্ডিকেট কে ভেঙ্গে দিয়ে প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুন্ন রাখুন। এদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানায় সাধারণ মানুষ।