বিশেষ প্রতিনিধিঃ- ফ্যাসিষ্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পরে বাংলাদেশ লাইভ এন্ড চিল্ড ফুড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন (কাঁকড়া ও কুঁচে রপ্তানীকারক অ্যাসোসিয়েশন) একটি রাজনৈতিক দলের নাম ভাংগিয়ে কিছুসংখক অসাধু ব্যবসায়ী দখল করে। তাহার পরবর্তীতে ঐ দখলদার গোষ্ঠী কার্যকরী পরিষদের লোকদের অ্যাসোসিয়েশন থেকে বের করে দেন। কার্যকরী পরিষদের লোকেরা সম্পদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পদত্যাগ করে এবং বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিকট প্রশাসক নিয়োগের জন্য অনুরোধ করেন।
মফঃস্বল বার্তা ডেস্ক: বাংলাদেশ লাইভ অ্যান্ড চিল্ড ফুড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের(কাঁকড়া ও কুঁচে রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন) দখলদারিত্ব এবং ভূয়া নির্বাচনের অভিযোগ উঠেছে।
বিশেষ প্রতিনিধিঃ- ফ্যাসিষ্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পরে বাংলাদেশ লাইভ এন্ড চিল্ড ফুড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন (কাঁকড়া ও কুঁচে রপ্তানীকারক অ্যাসোসিয়েশন) একটি রাজনৈতিক দলের নাম ভাংগিয়ে কিছুসংখক অসাধু ব্যবসায়ী দখল করে। তাহার পরবর্তীতে ঐ দখলদার গোষ্ঠী কার্যকরী পরিষদের লোকদের অ্যাসোসিয়েশন থেকে বের করে দেন। কার্যকরী পরিষদের লোকেরা সম্পদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পদত্যাগ করে এবং বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিকট প্রশাসক নিয়োগের জন্য অনুরোধ করেন।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় এইযে, যারা রাজনৈতিক দলের নাম ভাংগিয়ে অ্যাসোসিয়েশন দখল করেছিলো তাহারা একটি ভুয়া নির্বাচন দেখিয়ে নিজেরা অ্যাসোসিয়েশন পরিচালনা শুরু করেন। তাহারা নিজেদের প্রতিদ্বন্দী ব্যবসায়ীদের ঘায়েল করার জন্য বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে ভুয়া পদবী ব্যবহার করে চিঠি দিয়ে ব্যবসায়িক ক্ষতি করার জন্য চেষ্টা করিতে থাকে। সাধারন ব্যবসায়ীরা এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের জন্য মহামান্য হাইকোর্টের দারস্থ হয়। মহামান্য হাইকোর্ট উপরোক্ত দখলবাজ ভুয়া কমিটিকে অবিলম্বে বাতিল করিয়া প্রশাসক নিয়োগ করার নির্দেশনা দেন। বানিজ্য মন্ত্রণালয় মহামান্য কোর্টের নির্দেশনা আমলে নিয়ে প্রশাসক নিয়োগ দেন।
প্রশাসক নিয়োগের পরে সাধারন সদস্যদের মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে আসে। কিন্তু দখলদার গ্রুপ এখানে ক্ষান্ত হয় নাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান যে, তাহারা রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মাধ্যমে প্রশাসক চাপ দিয়ে ১৯-এপ্রিল-২৫ইং তাদের পছন্দনীয় ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি নির্বাচন বোর্ড ও নির্বাচন আপিল বোর্ড গ্রহন করেন। প্রশাসক মহোদয়ের নিজ ক্ষমতাবলে এমনটা করতে পারলেও সাধারনত মহা-পরিচালকের(বানিজ্য সংগঠন) সাথে আলোচনা করে থাকেন। বানিজ্য মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে জানা যায় যে, প্রশাসকের অধীনে বেশীরভাগ অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন বোর্ড ও নির্বাচন আপীল বোর্ড বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত কর্মকর্তাদের মাঝ্যমে হয়ে থাকে।
দখলদারদের পছন্দীয় নির্বাচন বোর্ড ২৩-এপ্রিল-২৫ইং নির্বাচনী তফসীল ঘোষনা করেন। সাধারন সদস্যরা এই বিষয়ে জানতে পারিয়া ২৩/৪/২৫ইং তারিখে সচিব মহোদয় ও ৬/৫/২৫ইং তারিখে মহাপরিচালক (বানিজ্য সংগঠনের) নিকট এই নির্বাচন বোর্ড ও নির্বাচনী আপীল বোর্ড বাতিল করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তাহাদের নিকট হইতে মৌখিকভাবে আশ্বাস ব্যতীত কার্যকরী কোন পদক্ষেপ গ্রহন করতে দেখা যায় নাই।
কোন উপয়ান্তর না দেখিয়া সাধারন সদস্যরা তাদের সদস্যপদের বকেয়া চাঁদা পরিশোধ করিয়া ভোটার হওয়ার আশায় অ্যাসোসিয়শনে গেলে তাদের চাঁদা নিতে অ্যাসোসিয়েশনের সচিব অস্বীকৃতি জানান। তাঁহার নিকট কারন জানতে চাইলে তিনি বলেন দখলদার গ্রুপে তাদের পছন্দমত সদস্য্য ব্যতিত অন্যদের চাঁদা নিতে নিষেধ করিয়াছেন। কিছু সদস্য ইহার প্রতিবাদ করিলে সেখানে অবস্থানরত রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতারা তাহাদেরকে অ্যাসোসিয়েশন থেকে বের করে দেয়।বর্তমানে বেশীরভাগ পুরাতন রপ্তানীকারক সদস্যগন
ভোটার হইতে পারে নাই।
বর্তমানে রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপের কারনে ধ্বংস হতে চলেছে ২০০০ কোটি টাকা অপ্রচলিত পন্যের রপ্তানীখাত।
রাজনৈতিক দখলদারিত্বের কারনে সংকটে পরতে পারে কয়েক লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান। অতিদ্রুত উপদেষ্টা পরিষদের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিত বলে মনে করেন সাধারন ব্যবসায়ীগন।