উল্লেখ্য, জাতিসঙ্ঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৪৬টিই ফিলিস্তিনকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মধ্যে গত বছর আর্মেনিয়া, স্লোভেনিয়া, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, স্পেন, বাহামা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, জ্যামাইকা এবং বার্বাডোসও তাদের তালিকায় যোগ দিয়েছে।
মফঃস্বল বার্তা ডেস্ক: ফ্রান্স আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনা করছে। ফ্রান্স জুনে নিউইয়র্কে ইসরাইল-ফিলিস্তিনি সংঘাত নিরসনের জন্য জাতিসঙ্ঘের সম্মেলনে এই পদক্ষেপ নিতে পারে বলে বুধবার (৯ এপ্রিল) জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
এই সপ্তাহে মিসর সফরকারী ম্যাক্রোঁ ফরাসি গণমাধ্যম ফ্রান্স-৫ টেলিভিশনকে বলেন, ‘আমাদের স্বীকৃতির দিকে এগিয়ে যেতে হবে এবং এটি আমরা কয়েক মাসের মধ্যেই করব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য জুনে সৌদি আরবের সাথে জাতিসঙ্ঘের কনফারেন্সে নেতৃত্ব দেয়া। আমরা একাধিক দেশের নেতাদের সাথে বসে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করতে পারব।’
ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আমি এটা করবো কারণ আমি বিশ্বাস করি, এক পর্যায়ে এটা ঠিক হবে এবং আমি একটি যৌথ গতিশীলতায় যুক্ত হতে চাই। যারা ফিলিস্তিনকে সমর্থন করেন, তারা এর বদলে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেবেন। তাদের অনেকেই তা করেন না।’
এদিকে ফ্রান্সের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভারসেন আঘাবেকিয়ান শাহিন। তিনি ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনকে ফ্রান্সের স্বীকৃতি ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষা ও দ্বিরাষ্ট্রনীতির দিকে একটি সঠিক পদক্ষেপ হবে।’
ফ্রান্স দীর্ঘদিন ধরেই ইসরাইল ও ফিলিস্তিন আলাদা দুটি রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে আসছে। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্স যদি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয় তাহলে এটি তাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি বড় পরিবর্তন হবে। ফ্রান্স ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিলে ক্ষুব্ধ হতে পারে ইসরাইল। কারণ ইসরাইলের দাবি, এখনই ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত হবে অপরিপক্ব।
উল্লেখ্য, জাতিসঙ্ঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৪৬টিই ফিলিস্তিনকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মধ্যে গত বছর আর্মেনিয়া, স্লোভেনিয়া, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, স্পেন, বাহামা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, জ্যামাইকা এবং বার্বাডোসও তাদের তালিকায় যোগ দিয়েছে।