যদিও তারা এটাও বলেছে, গার্সিয়া একটি সন্ত্রাসী দলের (এমএস-১৩) সদস্য। গার্সিয়ার আইনজীবী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অনলাইন ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের বাসিন্দা কিলমার আব্রেগো গার্সিয়াকে মার্কিন কর্মকর্তারা ভুলভাবে এল সালভাদরে একটি কারাগারে নির্বাসিত করেছে বলে স্বীকার করেছেন। তবে তিনি আর যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসে বসবাস করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। খবর বিবিসির।
বুধবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট আব্রেগো গার্সিয়াকে গ্যাং সদস্য বলে অভিযুক্ত করেন এবং ২৯ বছর বয়সী এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য সহিংসতার অভিযোগ তোলেন।
তিনি উল্লেখ করে বলেন, তার মার্কিন নাগরিক স্ত্রী একবার তার বিরুদ্ধে একটি সুরক্ষামূলক আদেশের জন্য আবেদন করেছিলেন।
তবে মার্কিন একটি আদালতের বিচারক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনকে গার্সিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনার আদেশ দিয়েছেন — কিন্তু সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলে এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছেন, তিনি তা করার ‘ক্ষমতা রাখেন না।’
গত সোমবার ওভাল অফিসে গার্সিয়াকে ফেরত পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন করা হলে প্রেসিডেন্ট বুকেলে বলেন, ‘এই প্রশ্নই অযৌক্তিক। কীভাবে আমি একজন সন্ত্রাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করব? আমি এটা করছি না।
আমার তাকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানোর ক্ষমতাই নেই। আমি দেশে সন্ত্রাসীদের ছেড়ে দিতে খুব একটা পছন্দ করি না।’
গত মার্চে ভেনেজুয়েলার দুই শতাধিক নাগরিকসহ আড়াই শ’র বেশি মানুষকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করে এল সালভাদরের একটি কারাগারে পাঠিয়ে দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। ওই দলে গার্সিয়াও আছেন।
এল সালভাদর বংশোদ্ভূত গার্সিয়াকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়ন করা যাবে না—যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত তাকে এই সুরক্ষা দিয়েছে। ২০১৯ সালে একজন অভিবাসন বিচারক গার্সিয়াকে বিতাড়নের ওপর ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
এ মাসের শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসন স্বীকার করেছে, প্রশাসনিক ভুল থেকে গত ১৫ মার্চ গার্সিয়াকে বিতাড়িত করে এল সালভাদরের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যদিও তারা এটাও বলেছে, গার্সিয়া একটি সন্ত্রাসী দলের (এমএস-১৩) সদস্য। গার্সিয়ার আইনজীবী এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্প প্রশাসনকে গার্সিয়াকে দেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়া সহজতর করতে বলেছেন। জবাবে ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে, তারা গার্সিয়াকে ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে আইনগতভাবে বাধ্য নয়।