• ৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লক্ষ্মীপুরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে দু’জন নিহতের ঘটনায় গ্রেফতার ১৪

Mofossal Barta
প্রকাশিত এপ্রিল ২৩, ২০২৫, ১৭:৫২ অপরাহ্ণ
লক্ষ্মীপুরে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে দু’জন নিহতের ঘটনায় গ্রেফতার ১৪

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে দুইজন নিহতের মামলায় ১৪ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

অনলাইন ডেস্ক:  লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে দুইজন নিহতের মামলায় ১৪ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।

লক্ষ্মীপুরে রায়পুরের খাসেরহাটে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। এসময় স্বেছাসেবকদল নেতা জসিম উদ্দিন ব্যাপারী হত্যা মামলায় ১৪ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভোররাতে ঢাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- আবুল খায়ের গাজী, খালিদ গাজী, জাকির হোসেন, আবদুল মান্নান গাজী, সিদ্দিক আলী, সোলায়মান দেওয়ান, নেসার উদ্দিন, ইমাম হোসেন, মিজান সরদার, শাহদাত হোসেন, খিজির আহমেদ, তসলিম উদ্দিন, হানিফ দেওয়ান ও হারুন। এর আগে বিএনপিকর্মী সাইজ উদ্দিন হত্যা মামলায় আরো তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এ নিয়ে একই ঘটনায় পৃথক দু’টি হত্যা মামলায় ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হওয়া সবাই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘সংঘর্ষে বিএনপির দু’জন মারা যায়। এ ঘটনায় পৃথক দুইটি হত্যা মামলা হয়। এ দুই মামলায় ৭৪জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২৩০জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এদিকে জসিম উদ্দিন হত্যা মামলায় র‌্যাবের সহযোগিতায় ঢাকা থেকে ১৪জন ও সাইজ উদ্দিন হত্যা মামলায় আগে আরো তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। দুই মামলায় এখন পর্য়ন্ত ১৭জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

এর আগে গত ৭ এপ্রিল (সোমবার) আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রায়পুর উপজেলার ২ নম্বর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ফারুক কবিরাজ ও উপজেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব শামীম গাজী গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে। এ সময় সাইজ উদ্দিন নামে এক বিএনপিকর্মী মারা যায়। এর সাতদিন পর আহত স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতা জসিম উদ্দিন ব্যাপারী ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ঘটনার তিনদিন পর নিহত সাইজ উদ্দিনের ভাই হানিফ দেওয়ান বাদী হয়ে বিএনপি নেতা ফারুক কবিররাজকে প্রধান করে ২৬জনের নাম উল্লেখ ও ১৮৬জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। অপরদিকে, ঘটনার আটদিন পর জসিম উদ্দিন ব্যাপারী নিহতের ঘটনায় তার বাবা হজল করিম ব্যাপারী বাদী হয়ে ৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৭০জনকে অজ্ঞাত আসামি করে রায়পুর থানায় পৃথক আরো একটি হত্যা মামলা করেন। এসব ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও কৃষকদলসহ অঙ্গসংগঠনের ১৬ নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিস্কার করে রায়পুর উপজেলা বিএনপি।