ভুক্তভোগী জামায়াত কর্মীর দাবি, থানায় বারবার যাওয়ার পরও মামলা আমলে নেননি অফিসার ইনচার্জ (ওসি)।
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানে মাইকে ঘোষণা দিয়ে জামায়াত কর্মীকে পেটানোর ঘটনায় ইউনিয়ন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম আদালতে মামলা করা হয়েছে। ঘটনার ৩৮ দিন পর বুধবার আদালতে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী জামায়াত কর্মী।
মামলায় আসামি করা হয়েছে বিএনপি নেতা আব্দুল আজিজসহ ৩৭ জনকে।
ভুক্তভোগী জামায়াত কর্মীর দাবি, থানায় বারবার যাওয়ার পরও মামলা আমলে নেননি অফিসার ইনচার্জ (ওসি)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মির্জাপাড়া এলাকায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে অশালীন নাচ, গান ও নৃত্য চলছিল। এমন সময় ডিসি রাস্তা দিয়ে বাজারে যাচ্ছিলেন জামায়াত কর্মী ও প্রভাষক আবুল হাসেম এবং তার ছেলে তাহমীদ আরমান জীম। অনুষ্ঠানস্থলের সামনের ডিসি রাস্তায় দাঁড়িয়ে তিনি অনুষ্ঠানের এক মিনিটের ভিডিও করার সময় দেখে ফেলে বিএনপি নেতা আব্দুল আজিজ।
এ সময় তিনি মাইকে ঘোষণা করে যে, প্রভাষক হাসেম ভিডিও ধারণ করতেছে ‘শালাকে ধর’। এই কথা শুনে আব্দুল আজিজের অনুসারী ২০-২৫ জন এসে তাকে ঘিরে ধরে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুসি মারতে থাকে এবং মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
প্রভাষক আবুল হাসেম জানান, হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নেওয়ার পর অনেকবার থানায় মামলা দেওয়ার জন্য গিয়েছি কিন্তু অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমার মামলা গ্রহণ করেননি। উল্টো ওই বিএনপি নেতা বারবার আমাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ‘অগ্রযাত্রা ইক্সক্লুসিভ’ নামের ফেসবুক পেজ থেকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অসত্য তথ্য প্রচার করছে।
তিনি আরও জানান, রৌমারীতে ভেকু মেশিন, ড্রেজার, ট্রাক্টর দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলনের মূল হোতা আব্দুল আজিজ। এ কথা রৌমারী উপজেলাবাসী সবাই জানেন। এগুলোর প্রতিবাদ করায় আমার ওপর এ রকম অত্যাচার করা হয়েছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
অপরদিকে বন্দবেড় ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল আজিজ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পহেলা বৈশাখের দিন গ্রামের ছেলেরা নৃত্য-গান করছিলেন। উনি (আবুল হাসেম প্রভাষক) এখানে অশালীন কোথায় পেয়েছেন তা আমি জানি না। অনুষ্ঠানে কোনো ধরনের মারামারি হয়টি, তবে কথা কাটাকাটি হয়েছে।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান বলেন, কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে সরেজমিন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।