এ সময় অভিযোগের সত্যতা জানতে এমএ খালেকের ফোন নাম্বারে কল দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ফজলুল হক জয়, স্টাফ রিপোর্টার: ফেনীতে মাদকের বিরুদ্ধে পোস্ট দেওয়ায় আবু তাহের সুজন (৪০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে।এ ঘটনার সাথে ফেনী জেলা বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক এম এ খালেকের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে।
সারে জমিনে গিয়ে দেখা যায়,ফেনী সদর হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছেন ভিকটিম আবু তাহের সুজন। তার মাথা,হাত এবং পায়ে রয়েছে গুরুতর জখমের চিহ্ন। দুই সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে ফেনী সদর হাসপাতালে দিনাতিপাত করছেন অসহায় এই যুবক। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,বিএনপির রাজনীতির একজন অন্ধ সমর্থক হিসেবে সর্বমহলে পরিচিতি সুজন।দলের দুঃসময়ে আন্দোলন, সংগ্রামে সব সময় সরব থাকতেন রাজপথে । দলে অনুপ্রবেশকারী, মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, নানা অনিয়ম নিয়ে প্রতিনিয়ত ফেসবুকে লিখতেন সুজন। সুজনের ভাষ্য মতে সেদিন লিখেছেন কলেজ শিক্ষক ও বিএনপি নেতা এম এ খালেকের বিরুদ্ধে।
শিক্ষকতার মুখোশ পরে এম এ খালেকের ছত্রছায়ায় দীর্ঘদিন চলছে মাদক ব্যবসা সহ নানান অপকর্ম।ফেনী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়কের পদে রয়েছেন এম এ খালেক।দলীয় প্রভাবে এবং তার নিজস্ব মাস্তান বাহিনীর ভয়ে তটস্থ থাকতেন কলেজের শিক্ষক, কর্মচারী ও এলাকার জনগণ।৫ আগস্টের পর তার বেপরোয়া আচরণ আরো বেড়ে যায়। অনুসন্ধানে উঠে আসে এমন তথ্য। সেদিন ঘটেছে এমনই একটি ঘটনা। ফেসবুকে কলেজ শিক্ষক খালেকের কুকীর্তি নিয়ে লিখেন সুজন। ঠিক তখনই হয়তো সুজনকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার চিন্তা করেন অভিযুক্ত বিএনপি নেতা খালেক।
জানা যায়,ফেনী সদরের বাসিন্দা সুজন গত ১২ মে বিকেলে তার কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরছিলেন। পূর্ব থেকে উঁৎ পেতে থাকা খালেক তার লোকজন নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় সুজনের উপর।প্রাণনাশের চেষ্টায় সুজনের হাত, পা এবং মাথায় চুরিকাঘাত করেন।ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন সুজন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে হসপিটালে পাঠায়। এ সময় দরিদ্র এই পরিবারটিকে সহযোগিতার হাত বাড়ান সাবেক ছাত্রনেতা আবুল কালাম আজাদ।এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবুল কালাম আজাদ বলেন,নিরীহ এই ছেলেটিকে (সুজন) কোন অপরাধে তারা এমন করলো।তিনি এই হত্যা চেষ্টার বিচার চেয়েছেন। সুজন জানান,অভিযুক্ত খালেকের নির্দেশনায় মাসুক, মতিন, ইকবাল,মফিজ,আওয়ামী লীগের সাবেক মেম্বার ফখরুল ইসলাম,যুবলীগ নেতা রিপন,সোহেল এবং বাবলু সহ অজ্ঞাত কয়েকজন তার উপর এই হামলা চালায়। এলাকাবাসী এবং সুজনের পরিবার এই জঘন্য কর্মকাণ্ডের বিচার চেয়েছেন।
এ সময় অভিযোগের সত্যতা জানতে এমএ খালেকের ফোন নাম্বারে কল দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।