সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটকের পর হোমল্যান্ড সিকিউরিটি প্রধান ক্রিস্টি নোয়েম এই ‘নৃশংস অপরাধীকে বিচারের আওতায় আনার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন এবং ঘটনাটিকে ইহুদি-বিদ্বেষপ্রসূত (অ্যান্টি সেমেটিক) বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি তার নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্র্রুথ সোশ্যাল’-এ লিখেছেন, “এই ভয়াবহ ডিসি হত্যাকাণ্ড স্পষ্টতই ইহুদি-বিদ্বেষের কারণে ঘটেছে, এখনই বন্ধ হওয়া উচিত! ঘৃণা ও উগ্রবাদের যুক্তরাষ্ট্রে কোনো স্থান নেই।”
অন্যদিকে, জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত এই ঘটনাকে ‘নৃশংস ইহুদি-বিরোধী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ বলে অভিহিত করেছেন। ইসরায়েলি দূতাবাসের মুখপাত্র তাল নাইম কোহেন ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) বার্তায় একটি বিবৃতি দিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, “ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটাল ইহুদি জাদুঘরে একটি ইহুদি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বের হওয়ার সময় ইসরায়েলি দূতাবাসের দুই কর্মীকে কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা রাখি যে তারা হামলাকারীকে আটক করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ইসরায়েলের প্রতিনিধি ও ইহুদি সম্প্রদায়কে রক্ষা করবে।”
ঘটনার রাতে আয়োজিত অনুষ্ঠানের আয়োজক, আমেরিকান জিউইশ (ইহুদি) কমিটির বোর্ড সদস্য জোজো কালিন বলেন, “আমি নিহত যুগলকে চিনতাম না, কিন্তু আমার এক ধরনের অপরাধবোধ কাজ করছে। আমার আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানের কারণে তারা সেখানে গিয়েছিলেন, আর তাদের জীবন চলে গেছে, এটা ভেবে আমি অপরাধবোধে ভুগছি”। মি. কালিন নিজে গুলির ঘটনা প্রত্যক্ষ করেননি বা গুলির শব্দও শোনেননি।
উল্লেখ্য, ওই অনুষ্ঠানটি মূলত গাজার মানুষের জন্য কীভাবে জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করা যায়, তার ওপরই কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
জোজো কালিন বলেন, ” ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি উভয়েরই আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রাপ্য, আর আমরা ঠিক এই বিষয়েই আলোচনা করছিলাম, এটা খুবই মর্মান্তিক যে এরপরই এমন ঘৃণাত্মক হামলা ঘটলো।”