• ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সৌদি আরবে একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে তিন বাংলাদেশির মৃত্যু

Mofossal Barta
প্রকাশিত জুলাই ৫, ২০২৪, ১৪:১৫ অপরাহ্ণ
সৌদি আরবে একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে তিন বাংলাদেশির মৃত্যু
সংবাদটি শেয়ার করুন....

অনলাইন ডেস্কঃ

বুধবার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টার দিকে সৌদি আরবের রিয়াদে একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে তিন বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

হতাহতদের সবাই নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বাসিন্দা।

নিহতরা হলেন- তেজনানন্দী গ্রামের ফারুক হোসেন (৪০), শিকারপুর গ্রামের এনামুল হোসেন (২৫) ও দিঘা স্কুলপাড়া গ্রামের শুকবর রহমান (৪০)।

বৃহস্পতিবার তেজনানন্দী গ্রামে ফারুক হোসেনের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। ফারুকের স্ত্রী ও দুই সন্তান অসহায় থাকায় আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী ও শুভানুধ্যায়ীরা সমবেদনা জানাতে জড়ো হন।

ফারুকের ভাগ্নে পিন্টু আলী জানান, ছয় বছর আগে সৌদি আরবে যাওয়ার আগে তার চাচা পোশাক শিল্পে কাজ করতেন। ফারুক অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং সম্প্রতি আট মাস আগে একটি সোফা তৈরির কারখানায় যোগ দেন। অগ্নিকাণ্ডে তার মৃত্যুর মর্মান্তিক খবর বুধবার গভীর রাতে ফোনে পরিবারকে জানানো হয়।

শুক্কুর আলীর জামাতা বিদ্যুৎ হোসেন বলেন, শুক্কুর, যিনি একজন ক্ষেতমজুর হিসেবে কাজ করতেন, আড়াই বছর আগে সৌদি আরব ভ্রমণের জন্য তার একমাত্র জমি বিক্রি করেছিলেন। অনেক চেষ্টা করেও তিনি ঋণ পরিশোধ করতে পারেননি। শুক্কুরের পরিবার এখন এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে, তাদের একমাত্র উপার্জনকারী ছাড়া বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে। তিনি দুই ছেলে, এক প্রতিবন্ধী ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

এনামুল হোসেনের চাচা জাহিদুল ইসলাম জানান, এনামুল তার ঋণ শোধ এবং সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ার আশায় সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। ইটের ঘর তৈরির কাজ প্রায় শেষ করে এনামুল পরের বছর বিয়ে করার পরিকল্পনা করেন। তার মৃত্যুর খবরে তার বাবা-মা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

নিহতদের পরিবার দ্রুত মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে।

আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্চিতা বিশ্বাস এ ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, কর্তৃপক্ষ শোকসন্তপ্ত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তিনি মৃতদেহ ফিরিয়ে আনার জন্য ব্যাপক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন এবং অন্য যেকোন সরকারি সহায়তা পাওয়া যায়।