• ৪ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২০শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ন্যাশনাল প্লাজা বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড পরস্পরের দ্বন্দ্বের যের ধরে চলছে দীর্ঘদিন

Mofossal Barta
প্রকাশিত জুন ৮, ২০২৪, ১৮:০৪ অপরাহ্ণ
ন্যাশনাল প্লাজা বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড পরস্পরের দ্বন্দ্বের যের ধরে চলছে দীর্ঘদিন
সংবাদটি শেয়ার করুন....

নিজস্ব প্রতিবেদনঃ
আশুলিয়া আউকপাড়ায় কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর সম্পত্তি লীজ গ্রহণ করেন মোঃ আইয়ুব আলী শিকদার ও সমিতির সদস্যদের অনুকূলে । আ.ন.ম নজিবুল্লা নাসের ও তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক ১০ একর জমি এককভাবে মোস্তাকের নামে চুক্তি করার জন্য কোর্ট অব ওয়ার্ডসকে অনুরোধ করেন এবং কর্তৃপক্ষ তা মেনে নেননি। জমি লিজ নিয়ে তারা দীর্ঘমেয়াদী লীজ করার উদ্দেশ্যে তৎকালীন ম্যানেজারের স্বাক্ষর জাল করে ডিট করে প্রতিবেদনে আমরা সেই কপি সংগ্রহ করতে সক্ষম হই।

আইয়ুব আলী শিকদারের ছবি দিয়ে মোস্তাক মোবাইল সিম তোলে তাকে মারধর করে এবং সমিতির সদস্যপদ হতে তাকে বহিষ্কার করে ।এছাড়া তাকে জেলেও খাটান । পরে আবার তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সমিতির সদস্য পদ ফেরত দেওয়া হয় । জোকসাজোসে শহিদুল্লাহ দেওয়ান কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর লীজকৃত ২০.০০একর জমি আত্মসাধের চেষ্টা করেছিল। যাতে কোর্ট অব ওয়ার্টস এর জমি বেদখল হওয়ার পাঁয়তারা চলছিল। ন্যাশনাল প্লাজার সদস্যরা হয়রানি হন, পুনরায় ২০১৭ সালে লীজ পায় ন্যাশনাল প্লাজার সহ সভাপতি আইয়ুব আলী সিকদার কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর লীজি হিসাবে ২০ একর সম্পত্তি ন্যাশনাল প্লাজার সদস্যদের সহ জমি ভোগ দখল করছে। আইয়ুব আলী সিকদার কমিটির বিষয়ে আদালতে মামলা করেছে। আ.ন.ম নজিবুল্লাহ নাসের ও মোস্তাক জমি বিক্রয় করেছেন এবং নাসের নিজের পছন্দ মতো সদস্যের তালিকা করে মনগড়া একটি কমিটি করেছেন ।

আইয়ুব আলী শিকদারের বিরুদ্ধে একটি চেকের টাকার আত্মসাতের মামলা করে যা পরবর্তীতে শুনানিতে খারিজ হয় । বর্তমানে কমিটির বিরুদ্ধে আইয়ুব আলী সিকদার বিজ্ঞ জেলা জজ আদালতে মামলা করেন । অতি সম্প্রতি আ.ন.ম নাসের কমিটির সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ ৬ একর জমি আলাল ও শাহিনের নিকট বিক্রিয় করার চুক্তি করেন।আ.ন.ম নাসের ও তার সম্পাদক বিভিন্ন ধরনের লোকের নিকট হতে অবৈধ ভাবে টাকা নিয়ে এস্টেটের তৎকালীন ম্যানেজারের স্বাক্ষর স্থলে তার স্বাক্ষর জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ইজারা চুক্তি সম্পাদন করে। আ.ন.ম নাসের ও তার সম্পাদক দু -দুবার সম্পত্তি বেদখল করার জন্য বেহাত করার পাঁয়তারা চালিয়েছে । প্রতিবেদনের স্বার্থে, সাংবাদিক অনেক কিছু পর্যালোচনা করে, ন্যাশনাল প্লাজার বহুমুখী সমবায় সমিতির অনেক গোপন তথ্য বের করতে গিয়ে সাংবাদিক হিসেবে অনেক প্রতিকূলতার শিকার হতে হয়েছে। আইয়ুব আলী শিকদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে আলোচ্য জমির লিজ, অনুমোদন করেন কোর্ট অব ওয়ার্ডস লিজ মানি পরিষদের জন্য পত্র দেয় আইয়ুব আলী শিকদারে কে ।হাউসিং কোম্পানির যোগ সদস্যে আ.ন.ম নজিবুল্লাহ নাসের ১ কোটি ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মোঃ আব্দুল মমিন চৌধুরীর কাছে, জমি বিক্রয় করেছেন। ১৫০ টাকার ট্যাম্পে তৎকালীন ম্যানেজারের স্বাক্ষরের জায়গায়, আ. ন .ম নজিবুল্লাহ নাসের স্বাক্ষর করেছেন ।

এ দুজনের সহায়তায় শহীদুল্লাহ দেওয়ান মামলা করেন । অবৈধভাবে ৯৯ বছরের চুক্তিপত্র সম্পাদন করে মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন নং ৭৭১/০৮ দায়ের , করায় তাদের লীজ বাতিল হয়। পরবর্তীতে আইয়ুব আলী শিকদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালে কতিপয় শর্তে সাপেক্ষে তার অঙ্গীকারনামা নিয়ে পূর্বের ধারাবাহিকতায় কোর্ট অব ওয়ার্ডস একসনা লীজের বাতিল আদেশ প্রত্যাহার করা হয় । কিন্তু কমিটির স্বার্থান্বেষী কতিপয় সদস্যের প্ররোচনায় প্রায় ১০একর সম্পত্তি শহীদুল্লাহ দেওয়ান অবৈধভাবে দখলের পাঁয়তারা করায় কোর্ট অব ওয়ার্ডস ঢাকা নওয়াব এস্টেট এর সম্পত্তি বেহাত করে। মামলা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে শহিদুল্লাহ দেওয়ান ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রায় সম্পত্তি জমি ভোগ দখল করেছে । আইয়ুব আলী সিকদার, শহিদুল্লাহ দেওয়ানের বিরুদ্ধে মামলা করে তাকে সরানোর প্রচেষ্টা করেছে । কিন্তু সভাপতি নাসের ও সাধারণ সম্পাদকের তেমন কোন ভূমিকা পরিলক্ষিত হয়নি।

ইতিমধ্যে কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর ৪ কর্মকর্তার নামে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দাখিল করে এখানেই থেমে থাকেননি তারা ।কিছু অনলাইন পোর্টাল তাদের নিউজ করার অনুমতি নেই কিন্তু তারা একটি স্বার্থ মহল প্রবঞ্চনায় মিথ্যা নিউজ প্রকাশ করে ।এ বিষয়ে কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর ম্যানেজার মোহাম্মদ হোসেন প্রতিবাদ, দৈনিক প্রিন্ট পত্রিকায় প্রকাশ করেন ।এই স্বার্থান্বেষী মহল কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর সম্পত্তি বেদখল করার জন্য উঠে পড়ে লেগে রয়েছে ।যাতে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় ও কোর্ট অব ওয়ার্ডস এর সম্মান ক্ষুন্ন হয় । এই প্রতিবেদনটি মফস্বল বার্তার নিজস্ব প্রতিনিধি তুলে ধরার উদ্দেশ্য কোর্ট অফ ওয়ার্ডস এর ১৫০০ একর সম্পত্তি রয়েছে যাতে সাধারণ মানুষ এই জমি লীজ নিয়ে চাষাবাদ ও আবাসনে কাজে ব্যবহার করে উপকৃত হোক ।

প্রতিবেদন কারীর জানামতে নওয়াব এস্টেট এর ১ হাজার একর সম্পত্তি লীজ দেওয়া বাকি রয়েছে । সরকারি আইনে যদি কোন বিধি নিষেধ না থাকে ,এই সম্পত্তি কোর্ট অব ওয়ার্ডস যদি নতুন করে লীজ দেন সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে এবং কোর্ট অব ওয়ার্ডস রাজস্ব পাবেন । এ বিষয়ে ঢাকা নওয়াব এস্টেট এর সম্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয়ের দৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধ রইলো।