অনলাইন ডেস্কঃ
চার দশক আগে ঝিনাইদহ সীমান্ত এলাকায় চোরাচালানে যুক্ত হন তিনি। পরে আসেন রাজনীতিতে। পৌর কাউন্সিলর, উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে সংসদ সদস্য পর্যন্ত হন। কিন্তু চোরাচালানের সেই চক্র থেকে বের হতে পারেননি। সেই বিরোধেই ভারতের কলকাতায় খুন হন আনোয়ারুল আজীম (আনার)।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম খুনের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরাও অন্ধকার জগতের লোক। খুনের মূল পরিকল্পনাকারী আনোয়ারুলের বাল্যবন্ধু আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহীন। যিনি নিজেও সোনা পাচারকারী একটি চক্রের প্রধান। আর খুনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন পেশাদার সন্ত্রাসী শিমুল ভূঁইয়া, যিনি একসময় একটি চরমপন্থী সংগঠনের নেতা ছিলেন।
এই খুনের কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, অপরাধজগতের সঙ্গে আনোয়ারুল আজীমের যোগাযোগ অনেক পুরোনো। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনি নিজ জেলা ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তকেন্দ্রিক চোরাচালানে যুক্ত হন।
সর্বশেষ গতকাল শনিবার (৮ জুন) কলকাতাভিত্তিক সংবাদপত্র আনন্দবাজার পত্রিকার এক খবরে সেখানকার তদন্তকারীদের বরাত দিয়ে বলা হয়, আনোয়ারুল আজীম সীমান্তে সোনা পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পাশাপাশি তিনি একটি টাকা পাচার চক্রেরও প্রধান ছিলেন। এ ছাড়া আনোয়ারুল খুনে সন্দেহভাজন আখতারুজ্জামানও সোনা পাচারে যুক্ত ছিলেন।