২০১৩ সালের ৯ অক্টোবর সিডিএর ৪০৫তম বোর্ড সভায় অনন্যা আবাসিক এলাকায় ১২১টি প্লট বরাদ্দের সিদ্ধান্ত হয়। এর মধ্যে ৫৯ জন ছিলেন মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগ নেতা, বোর্ড সদস্য, সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ লোকজন। বাকি ৬২ জন ছিলেন সিডিএর কর্মকর্তা-কর্মচারী। তাঁদের ৩ থেকে ৫ কাঠা করে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়।
২০০৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ১১টিতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থীরা জয় পান। তাঁদের সবাইকে ৪০৫তম বোর্ড সভায় প্লট দেওয়া হয়েছিল। চট্টগ্রাম শহরে পৈতৃক ও নিজের নামে জায়গা–বাড়ি থাকার পরও আবেদন করেই প্লট পেয়েছিলেন হাছান মাহমুদ, মোশাররফ হোসেন, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, আফছারুল আমীন, সামশুল হক চৌধুরী, এম এ লতিফ, নুরুল ইসলাম ও সাইফুজ্জামান চৌধুরী। একই সময়ে প্লট পান এ বি এম আবুল কাশেম, দিলীপ বড়ুয়া, মইনউদ্দীন খান বাদল, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চেমন আরা তৈয়ব, বীর বাহাদুর উশৈসিং ও দীপংকর তালুকদার।
সরকার পতনের পর মোশাররফ হোসেন, এম এ লতিফ ও এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী গ্রেপ্তার হয়েছেন। মারা গেছেন আফছারুল আমীন। অন্যরা আত্মগোপনে থাকায় পৈতৃক ও নিজের সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও প্লট নেওয়ার বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।