• ৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তি ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষন্ন করার অপচেষ্টা

Mofossal Barta
প্রকাশিত জুন ১২, ২০২৪, ২৩:১৯ অপরাহ্ণ
পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তি ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষন্ন করার অপচেষ্টা
সংবাদটি শেয়ার করুন....

ব্যুরো প্রধান খুলনা
মোঃ বাবুল সানা

সদ্য সমাপ্ত ৯ জুন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।নির্বাচন পরবর্তী কয়েকটি কেন্দ্রের ভোটের ফলাফলে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে এলাকার জনগনের মধ্যে বিভ্রান্তি ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা। তথা কথিত কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৮০% এর উপরে ভোটর উপস্থিতির কথা বলে জনগনের মধ্যে বিভ্রান্তিকর ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। সচেতন জনগন তথা কথিত কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এহেন মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা তথ্য দেখে হতবাক হয়েছে। এর মূল তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে জানাযায়, কয়েকজন অপরিপক্ক ব্যক্তিরা এ সমস্ত আপত্তিকর বিভ্রান্তিমূলক ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টায় নির্বাচনী ফলাফলে সুকৌশলে কালিমা লেপোন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে জনগণের মধ্যে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা করেছে। এই বিভ্রান্তিকর পোষ্টদাতাদের বেশীরভাগই অতিউৎসুক ভোট বর্জনকারী বিএনপি-জামায়াত জোটের সক্রিয় সদস্য, কয়েকজন নাষকতা মামলার জামিনে মুক্তি প্রাপ্ত আসামীও। সচেতন মহাল তাদের-কে পূনরায় অংক শিখে আসার দাবীও জানিয়েছেন। অতিউৎসুক ভোট বর্জনকারী বিএনপি-জামায়াত জোটের সক্রিয় এসব সদস্য জনগনকে যে কোন পরিস্থিতিতে বিপদের মধ্যে ফেলে দিতে পারে!
তাদের আপত্তিকর ও বিভ্রান্তিমূলক পোষ্টের মধ্যে কে আর আর মানিক তলা কেন্দ্রে তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৮৪% ভোটার উপস্থিতির কথা বলা হয়েছে। অথচ একেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৬১৩৮ জন, ভোটার উপস্থিতি ২২২২ জন, যার শতকরা হার ৩৬.২০%। কপিলমুনি কেন্দ্রে তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হয়েছে ৮০% ভোট পড়েছে। অথচ একেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৫০৭৫ জন, ভোটার উপস্থিতি হয়েছে ২৪১২ জন, যা ৪৭.৫২ %। হাউলি কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩৭০৫ টি ভোট প্রয়োগ হয়েছে ১৩৮০টি, যা শতকরা ৩৭.২০%। রেজাকপুর কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৩৪৯টি, ভোট প্রয়োগ হয়েছে ১১১৮টি, যা শতকরা ৪৭.৫৯%। নাবা কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৭১১টি, ভোট প্রয়োগ হয়েছে ১২৯৫ টি, যা শতকরা হার ৪৭.৭৬%। অথচ তথা কথিত কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টার মাধ্যমে সু কৌশলে অপরিপক্ক ভাবে ভোটার উপস্থিতি শতকরা ৮০%-৮৪% ইত্যাদি লিখে পোস্ট করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে এবং হচ্ছে। সঠিক তথ্য প্রচার না করে জনগনের মধ্যে বিভ্রান্তি ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টার করায় তথা কথিত কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্ট দাতাদের বিরুদ্ধে তথ্য আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।