• ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৫শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আবারো লঙ্কাকাণ্ডে জেলসুপার রত্না ও ডি আইজি কামাল

Mofossal Barta
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৫, ১২:০৬ অপরাহ্ণ
আবারো লঙ্কাকাণ্ডে জেলসুপার রত্না ও ডি আইজি কামাল

আবারো লঙ্কাকাণ্ডে জেলসুপার রত্না ও ডি আইজি কামাল

সংবাদটি শেয়ার করুন....

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ কিছুতেই থামছে না রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের চমক লাগা দুর্নীতি আর অনিয়ম। নৌকার বৈঠা ধরে আসা দুই ভাই-বোন প্রিজন্স কামাল হোসেন ও জেল সুপার রত্না রায় একাধিক লঙ্কা কাণ্ডের জন্ম দিলেও এই দুই ভাই বোনের রাজ্যের দিকে খেয়াল নেই সংশ্লিষ্টদের।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বৈঠাদিয়ে নৌকার উপর ভর করে দুর্নীতির শীর্ষে থাকা ঢাবিঃ ছাত্র লীগের ডিআইজি প্রিজন্স কামাল হোসেন ও অপর দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী কে ঘনিষ্ঠজন পরিচয় দেওয়া, কাশেমপুর কারাগারের সেই বিতর্কিত জেল সুপার রত্না রায়ের আমলনামা খতিয়ে দেখে কেন তাদের আইনের আওতায় নেওয়া হচ্ছেনা এমন প্রশ্ন নিয়ে কারা অধিদপ্তরের ক্লিন ইমেজের কর্মকর্তারা ফুঁসে উঠেছে।

মুঠো ফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একজন কারা কর্মকর্তা বলেন আওয়ামী লীগের লাল নীল ফোন ব্যবহার করে ডিআইজি প্রিজন্স কামাল হোসেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুইবার পদোন্নতি নেন। শুধু পদোন্নতি নিয়েই তিনি থেমে থাকেনি, নিয়োগ বাণিজ্য, কারাগার ভিজিট অযুহাত, বদলি বাণিজ্য, কারাগারের ভেতরে বন্দীদের খাবার কেড়ে নিয়ে গরু ছাগল পালন সহ নতুন সব ইস্যু তৈরি করে অর্থ লোপাট করার বিষয় নিয়েও তিনি কথা বলেন।

অপর দিকে একজন সিনিয়র জেল সুপার মুখোমুখি হলে- তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে রত্না রায়ের অদৃশ্য ক্ষমতার দাপট নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, এখন যার জেলের ভেতর থাকার কথা তিনি জেল তদারকি করছেন বিষয়টি অত্যান্ত মর্মাহত ব্যাপার । তার পুর্বের কর্মস্থল গুলোর আংশিক তদন্ত চান তিনি। আংশিক তদন্তেই তার চমকে উঠার মত খতিয়ান বেরিয়ে আসবে এমন প্রত্যাশা তার। যখন সংস্কার হচ্ছে তখনো কিভাবে তিনি চাকরিতে বহাল আছেন এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি।

রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের একজন প্রধান কারারক্ষীর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় তিনি জানান গত ১৩ ফেব্রুয়ারী রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ২০ সেল নামক লকাপ থেকে তরিকুল ও মতিন নামের দুইজন ফাঁসির আসামির নিকট থেকে দুটি দামি মোবাইল ফোন পাওয়া গেছে। বিষয়টি প্রথমে ডিআইজি প্রিজন্স বাবু ও রত্নারায় ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন পরে অনান্য বন্দীরা জেনে যাওয়ার কারণে সেটি আর সম্ভব হয়নি।

তিনি আরো বলেন সেই ফাঁসির আসামির পরিবারের সাথে প্রিজন্স স্যারের একটা গভীর সম্পর্ক ছিল। এমন সংরক্ষিত জায়গায় কিভাবে ফোন প্রবেশ করলো ধরা পড়ার পরেও কেন কারা কর্তৃপক্ষ নিরব, সব কিছু রহস্যের জালে ঘেরা। এমন ঘটনা বাহিরে প্রকাশ না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কারারক্ষীদের শাসিয়ে দেন জেল সুপার রত্না রায়।

তিনি বলেন এমনিতেই আমার নামে ও স্যারের নামে লেখা লেখি চলছে উপর মহল কানখাড়া করেছে এমন অবস্থায় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারা অভ্যন্তরে প্রিজন্সের গরু ছাগলের খামার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন সরকারি বেতন ভুক্ত ৩ জন কর্মচারি তার খামার দেখা শোনা করেন। ভেতর থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বন্দীর বরাদ্ধের খাবার থেকে সাজা প্রাপ্ত বন্দীর মাধ্যমে প্রিজন্স স্যারের খামারে চলে যায়।
সুত্র বলছে প্রিজন্স কামাল হোসেন চেয়ারে বসে দাপটের সাথে বলছেন উপর মহলের কান বন্ধ আমার কথাই শেষ কথা।তিনি আরো বলেন আমার ছেলে রাজশাহীতে পড়াশোনা করছেন বিষয়টি আমি উপর মহল কে জানিয়েছি তাই চিন্তার কোন কারণ নেই।
সকল অভিযোগের বিষয় নিয়ে জানতে চেয়ে মুঠো ফোনে ফোন করলে কামাল হোসেন ফোন তুলে নাই অপর দিকে একাধিক বার ফোন করলেও রত্না রায়কে না পাওয়ার কারণে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।