সমাবেশে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র তাহেরের পরিবারের প্রতি ইঙ্গিত করে জামায়াতের আমির বলেন, ‘এক বছর আগে লক্ষ্মীপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারব, সেই কল্পনা করি নাই। স্বাধীনতার পর একটি গোষ্ঠী লক্ষ্মীপুরকে সন্ত্রাসী এলাকায় পরিণত করেছে। বিশেষ করে একটি পরিবার। এখন তারাও পালিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন রাজনীতি ঘৃণা করি যে রাজনীতি করতে গিয়ে দেশ থেকে পালাতে হয়। আবু সাঈদের মতো বুক পেতে মারা যাওয়াও যেন আনন্দের হয়, এমন রাজনীতি চাই।’
সমাবেশে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের কাছে জামায়াত আমির জানতে চান লক্ষ্মীপুরে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হচ্ছে কি না। নেতা-কর্মীদের কাছে হ্যাঁ–সূচক জবাব পেয়ে জামায়াত আমির বলেন, ‘দলমত-নির্বিশেষে সবাইকে চাঁদাবাজি, দখলদারি বন্ধ করতে এগিয়ে আসতে হবে। জাতিকে সামনে এগিয়ে যেতে দিন। আবার যেন ফ্যাসিবাদের নতুন ধারা, অধ্যায় তৈরি না হয়। তার থেকে ফিরে আসুন। ফিরে না এলে আমাদের লড়াই অব্যাহত থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা পাশে থাকলে চাঁদাবাজ, দুর্নীতি ও দুঃশাসনমুক্ত দেশ হবে। এর জন্য প্রথমত আপনাদের ভালোবাসা, দ্বিতীয়ত সমর্থন, তৃতীয়ত আপনাদের পাশে পেতে চাই।’
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের আমির রুহুল আমিন ভূঁইয়া। সেক্রেটারি জেনারেল ফারুক হোসাইনের সঞ্চালনায় এ ছাড়াও বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম, কর্ম পরিষদের সদস্য রেজাউল করিম, মোবারক হোসেন প্রমুখ।