সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তে বছরে প্রায় ৬০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। বিপরীতে বাড়বে সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যবসা।
বর্তমানে দৈনিক চাহিদার মাত্র ৪০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ যোগান দিচ্ছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি। বাকি ৬০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ আইটিসি অপারেটরের মাধ্যমে ভারত থেকে আমদানি হয়।
আইআইজি অপারেটররা বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত তাদের ভূখণ্ডে সিডিএন সার্ভার স্থাপন করায় এখন আইটিসি ক্যাবলের মাধ্যমে দ্রুত ট্র্যাফিক সরবরাহ করছে। আবার সাবমেরিন ক্যাবলের প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ কিনতে খরচ যেখানে ২২০ টাকা সেখানে ভারতীয় ব্যান্ডউইথে খরচ ১০০ টাকা। এ কারণে সাবমেরিন ক্যাবলের ৪ হাজার ৪০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ পড়ে আছে। অথচ ভারত থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানিতে বছরে প্রায় চার কোটি ডলার বা বর্তমান রেটে ৪৮৮ কোটি টাকা খরচ করছে বাংলাদেশ। এ অবস্থায় সংশোধিত আইআইজি লাইসেসিং গাইডলাইনে ব্যান্ডউইথ আমদানির সীমা ৫০ শতাংশে বেঁধে দিয়েছে বিটিআরসি। এতে বছরে প্রায় ৬০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে আপত্তি না তুললেও সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যান্ডউইথের দাম কমাতে বলছেন আইআইজি অপারেটররা।
আইআইজিএবির সভাপতি বলেন, ‘৫০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ সাবমেরিন থেকে নিতে হবে। ফলে আইআইজি লেভেলে প্রত্যেকের খরচ ১০ থেকে ২০ শতাংশ খরচ বাড়বে।’
ব্যান্ডউইথ বিক্রি বাড়লে দামও কমানো হবে বলে জানালেন, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘১০০ জিবিপিএস কিনলে আমরা ৩০ জিবিপিএস ফ্রি দিচ্ছি। আমাদের বিক্রি বাড়লে ডিসকাউন্ট বাড়ানোর কথাও ভাববো আমরা।’
বিটিআরসির সিদ্ধান্তের বিষয়ে দুটি শীর্ষ আইটিসি অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করেননি।