• ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘যুদ্ধদাস তৈরির নতুন ফাঁদ’

Mofossal Barta
প্রকাশিত মার্চ ৩, ২০২৫, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ
‘যুদ্ধদাস তৈরির নতুন ফাঁদ’

'যুদ্ধদাস তৈরির নতুন ফাঁদ'

সংবাদটি শেয়ার করুন....

অনলাইন ডেস্ক: কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘যুদ্ধদাস তৈরির নতুন ফাঁদ’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকার নিকুঞ্জ এলাকায় রাশিয়া যেতে চাওয়া মানুষদের জন্য একটি ভুয়া নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করা হয়েছিল।

এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্মাণ শ্রমিক নিয়ামত আলীও ছিলেন, যিনি কম বেতনের কাজে জড়িত থাকায় রাশিয়ায় যাওয়ার প্রলোভনে পড়েন।

পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বেশিরভাগই দিনমজুর বা স্বল্পশিক্ষিত শ্রমিক ছিলেন।

এদের মধ্যে প্রায় ৪০০ জনকে রাশিয়ায় পাঠানোর কথা বলে তাদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করার চেষ্টা করা হচ্ছিল।

তবে, তদন্তে বেরিয়ে আসে যে, এসব নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন ছিল না এবং কিছু প্রতিষ্ঠান, যেমন আল-সৌরভ ওভারসিজ ও জান্নাত ওভারসিজ, অবৈধভাবে মানবপাচারের সঙ্গে যুক্ত।

রাশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, এসব প্রতিষ্ঠান তাদের অনুমোদন ছাড়াই কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছিল।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছিল, যেখানে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সহজ-সরল মানুষদের প্রলুব্ধ করা হচ্ছিল।

এ ঘটনায় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে অনুসন্ধান করছে এবং এসব প্রতিষ্ঠানকে অপরাধমূলক কার্যকলাপের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।

দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘Home opposes idea of police commission’ ‘পুলিশ কমিশনের সুপারিশের বিরোধিতা করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পুলিশকে আলাদা একটি কমিশনের মাধ্যমে দায়বদ্ধ করার দাবি উপেক্ষা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশের নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে তারা রাজি নয় বলে জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের মতে, পুলিশ সংস্কার কমিশন যে স্বাধীন সংস্থা গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে, তা অপ্রয়োজনীয়, কারণ মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই সেই কাজগুলো করছে।

পুলিশকে দায়বদ্ধ করার জন্য আইনে পরিবর্তন আনার দাবি উঠেছে, কারণ গত বছর আন্দোলনের সময় প্রায় ১,৪০০ জন পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন।

তবে মন্ত্রণালয় জানায়, বর্তমানে আইনের কোন সমস্যা নেই এবং কোনো সংশোধনের প্রয়োজন নেই। মন্ত্রণালয়ের মতে, যদি আইন অনুসরণ করা হয়, তবে পুলিশ দায়বদ্ধ থাকবে।

তবে, মন্ত্রণালয় সাইবার অপরাধ ও ডিজিটাল তদন্তের জন্য কিছু সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে।

জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে পুলিশ তদারকি সংস্থা পরিবর্তন করে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে।

পুলিশ হেডকোয়ার্টারও শ্রীলঙ্কার মতো একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে, যা পুলিশ বাহিনীর মধ্যে স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করবে।

তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ধারণার বিরোধিতা করছে, কারণ এমনটা হলে পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

সংবাদের প্রধান শিরোনাম, ‘আইনশৃঙ্খলা সামলাতে অলিগলিতে যাবে বিজিবি-কোস্টগার্ড, কেনা হচ্ছে মোটরসাইকেল’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত করতে সরকার পুলিশ, বিজিবি, কোস্ট গার্ড এবং আনসার সদস্যদের জন্য মোটরসাইকেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এতে তাদের অলিগলিতে দ্রুত টহল দেয়া সহজ হবে। ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে বিশেষ অভিযান চলছে।

মূলত চিহ্নিত অপরাধী, সন্ত্রাসী ও মাদক চোরাকারবারিদের ধরতে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

এই অভিযানের অংশ হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় টহল বাড়িয়েছে।

পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসার ও কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে টার্গেট এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।

ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অতিরিক্ত পেট্রোলিং এবং অপরাধপ্রবণ এলাকায় কম্বাইন্ড অভিযান চালানো হচ্ছে।

মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম, ‘ইফতার পণ্যের দাম কমেনি, ক্রেতাদের অস্বস্তি’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চলতি বছর রমজান শুরুর আগে বাজারে পণ্যের দাম ঢালাওভাবে না বাড়লেও কিছু পণ্য বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে, বিশেষ করে ইফতার সামগ্রীর বাজার বেশ চড়া।

বেশিরভাগ ইফতার পণ্যের দাম গত বছরের মতোই রয়েছে, তবে কিছু কিছু আইটেমের দাম বেড়েছে।

শশা, লেবু, বেগুনের দাম বেড়েছে এবং ফলের দামও বাড়ানো হয়েছে। আপেল, মাল্টা, আঙ্গুর ও কমলা কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

বিশেষ করে ফলের বাজারে ক্রেতাদের অস্বস্তি দেখা গেছে।

বাজারে কিছু পণ্য যেমন শরবতের উপকরণ, জিলাপি, বুরিন্দা, চপ এবং মুড়ির দামও বেড়েছে।

স্টার কাবাব অ্যান্ড বেকারির বিক্রেতারা জানিয়েছে, তাদের পণ্যের দাম গত বছরের মতোই রয়েছে এবং চাহিদা বাড়ছে।

তবে, বাজারে খেজুরের দাম কিছুটা কমেছে, যা ক্রেতাদের সন্তুষ্টি এনে দিয়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, রমজানে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বাড়তে পারে।

তবে, কিছু ব্যবসায়ী এই দাম বৃদ্ধিকে স্বাভাবিক বলছেন, কারণ বিদেশি ফলের ওপর শুল্ককর বাড়ানোর কারণে দাম বেড়েছে।

কিছু ক্রেতা জানান, ফলের দাম আগের চেয়ে বেশি, কিন্তু অন্য পণ্যের দাম সাধারণত স্থির রয়েছে।

আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, ‘ছাপা বাকি ৩ কোটি পাঠ্যবই’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চলতি শিক্ষাবর্ষের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও, এখনো সব শিক্ষার্থীর হাতে পাঠ্যবই পৌঁছায়নি।

এখনও অষ্টম, নবম শ্রেণি এবং ইবতেদায়ি স্তরের কিছু বই ছাপার অপেক্ষায় আছে। মোট তিন কোটি বই ছাপা বাকি, যার অধিকাংশই মাধ্যমিক স্তরের বই। এছাড়া, সাড়ে তিন কোটি বই বিতরণ বাকি রয়েছে।

এনসিটিবির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিক্ষাবর্ষের শেষের দিকে নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল ও পাঠ্যবইয়ের বিষয়বস্তু সংশোধনসহ প্রশাসনে রদবদল হওয়ার কারণে বই ছাপাতে দেরি হয়েছে।

তবে, এনসিটিবির চেয়ারম্যান আশা প্রকাশ করেছেন যে মার্চ মাসের ১০ তারিখের মধ্যে সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছাবে।

এনসিটিবির তথ্য অনুযায়ী, নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রায় ৪০ কোটি বই ছাপানোর পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু পরবর্তীতে ৩৯ কোটি ৬০ লাখ বই ছাপানো হবে বলে নির্ধারিত হয়েছে।

এর মধ্যে ২৭ কোটি বই মাধ্যমিক এবং ৯ কোটি বই প্রাথমিক স্তরের। এখনো কিছু বই ছাপা ও বিতরণের কাজ বাকি রয়েছে।

বিশেষত, নতুন শিক্ষাক্রম বাতিলের পর মাধ্যমিক স্তরের বইয়ের সংখ্যা বেড়েছে, যার কারণে ছাপানোর কাজ কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীদের নতুন দল, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের আত্মপ্রকাশের সময় মধ্যপন্থার দল হিসেবে নিজেদের পরিচিতি দাবি করেছে।

তবে দলটির কার্যক্রম, গঠনতন্ত্র বা কর্মপন্থা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এনসিপির নেতারা বিভিন্ন মতাদর্শ থেকে আসলেও, তাদের একটি একক লক্ষ্য, মধ্যপন্থা নিয়ে দলটির এগিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

বিএনপি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল দলটির দর্শন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এনসিপির নেতা আরিফুল ইসলাম আদীব বলেছেন, তারা বিভাজনের রাজনীতির অবসান চান এবং ধর্মীয় বা সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিষয়গুলো দলের ক্ষেত্রে বিবেচনা করছে না।

তবে দলটির কর্মসূচি স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত তাদের নীতি নিয়ে আলোচনা করা কঠিন।

দলটি তিন মাসের মধ্যে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত পৌছানোর পরিকল্পনা করেছে এবং তারা মহানগর, জেলা, উপজেলায় কমিটি গঠন করতে চায়।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, ভিন্ন ভিন্ন মতাদর্শ থেকে আসা নেতাদের একত্রিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে।

দলটির গঠনতন্ত্র, কর্মপন্থা এবং স্লোগান নিয়ে এখনও কিছু অনিশ্চয়তা রয়েছে, তবে তারা শিগগিরই একটি সঠিক কর্মপন্থা এবং স্লোগান চূড়ান্ত করার চেষ্টা করছে।