স্টাপ রিপোর্টারঃ
গাইবান্ধা সদরের বল্লমঝাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জুলফিকার রহমানকে তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নের জন্য ২০০৯ এর অধীনে তথ্য কমিশন বাংলাদেশ কর্তৃক তথ্য প্রদানের কঠোর নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
প্রকাশ- গাইবান্ধা সদরের বল্লমঝাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমানসহ বেশ কয়েকজন ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া যায়। এই অনিয়ম দুর্নীতির প্রমাণ পত্র সংগ্রহের উদ্দেশ্যে নিউজ ৯৯ অন লাইন নিউজ পোর্টালের চীফ নিউজ এডিটর সাংবাদিক মোঃ মোনায়েম হোসেন মন্ডল গত ২২/১০/২০২৩ ইং তারিখে তথ্য অধিকার আইন ২০০৯’র ৮(১) ধারার ভিত্তিতে নিম্নলিখিত তথ্যগুলো চেয়ে আবেদন করেন। তথ্য গুলো হলো- গাইবান্ধা সদর উপজেলার ৫ নং বল্লমঝাড় ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক ২০২১-২০২২, ২০২২-২০২৩ ও ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছর পর্যন্ত প্রাপ্ত ভুমি হস্তান্তর কর(১%), টি আর, কাবিখা, কাবিটা, হাটবাজার, ফেরিঘাট সহ বাস্তবায়নকৃত ও বাস্তবায়নাধীন সকল কার্যক্রমের বরাদ্দপত্র ও প্রকল্প তালিকা। ক) ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের সালের প্রাপ্ত ভুমি হস্তান্তর কর(১%), টি আর, কাবিখা, কাবিটা, হাটবাজার, ফেরিঘাট সহ বাস্তবায়নকৃত সকল বরাদ্দপত্র ও প্রকল্প তালিকার সকল কাগজপত্রাদি সংশ্লিষ্ট অফিস কর্তৃক সত্যায়িত ফটোকপি চাওয়া হয়। এবং সাথে ২০২১-২০২২ ও ২০২৩-২০২৪ সালের অডিট রিপোর্ট এর ফটোকপিও চাওয়া হয়। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান তথ্য অধিকার আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক যথাসময়ে তথ্য প্রদান না করে আইনের সর্বোচ্চ সময় অতিবাহিত করেন। ফলে উল্লেখিত তথ্য প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে পুনরায় গত ১৪/১২/২০২৩ ইং তারিখে গাইবান্ধা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আপীল করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গত ১৮/১২/২০২৩ ইং তারিখে স্মারক নং ০৫.৫৫.৩২২৪.০০১. ০৪.০০১(অংশ-১).২০২০.১৪৪২ মোতাবেক উল্লেখিত তথ্য সরবরাহ করার জন্য আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে আবেদনে উল্লেখিত তথ্যাদি আবেদনকারীকে সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউপি সচিব/দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন। কিন্তু এবারও বল্লমঝাড় ইউপি সচিব/চেয়ারম্যান তথ্য অধিকার আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা মোতাবেক যথাসময়ে তথ্য প্রদান না করে আইনের সর্বোচ্চ সময় অতিবাহিত করেন। নির্ভরশীল জানায়, বল্লমঝাড় ইউপি চেয়ারম্যান উল্লেখিত তথ্য সমূহ সরবরাহ না করে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের সাথে আপোষ করার জন্য পৃথক পৃথক ভাবে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে তিন দফা প্রস্তাব দেন।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জুলফিকার রহমানের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে সাংবাদিক মোনায়েম হোসেন মন্ডল গত ৭/২/২০২৪ ইং তারিখে তথ্য কমিশন বাংলাদেশ এর প্রধান তথ্য কমিশনার বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। যার নং ৪৫/২০২৪। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্য কমিশন বাংলাদেশ এর উপ-পরিচালক (গবেষণা, প্রকাশনা ও প্রশিক্ষণ) গতকাল ৬/৫/২০২৪ ইং তারিখ শুনানির দিন ধার্য করে সমন জারী করেন। সেই মোতাবেক গতকাল ৬মে তারিখে ঢাকাস্থ আগারগাঁও তথ্য কমিশন বাংলাদেশ অফিসে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানিতে প্রধান তথ্য কমিশনার সহ জুরি বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের মতামতে বলেন, আবেদনে চাহিত সকল তথ্যই প্রদান যোগ্য। তাই কোন প্রকার ওজোর আপত্তি না করে আগামী ১০মে ২০২৪ ইং তারিখের মধ্যে তথ্য সরবরাহের কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন। অন্যথায় তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ যথাযথ বাস্তবায়নের স্বার্থে পরবর্তিতে কঠোর শাস্তি মুলুক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান। এ সময় ইউপি সচিব ও চেয়ারম্যান নির্দেশিত সময়ের মধ্যেই তথ্য সরবরাহের জুরি বোর্ডের কাছে অঙ্গীকার করেন।