শাহ আলী থানার ওসি শরিফুল ইসলাম আওয়ামী লীগকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তার বক্তব্য জানতে চাইলে উক্ত অভিযোগের বিষয়ে তার কোন বক্তব্য নেই ।
অনলাইন ডেক্স: রাজধানীর মিরপুর শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে পতিত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ ও শাহ আলী থানা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জহিরুল ইসলাম এমন অভিযোগ এনেছেন।
জানা যায় গত ১৪ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে যুবদল কর্মী রাব্বি খান এবং স্থানীয় জনতা বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতা হত্যায় অভিযুক্ত যুবলীগের ৯৩ নং ওয়ার্ডের ইউনিট সভাপতি শরিফকে আটক করে।
বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানালে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই রফিকুল ইসলাম বগা বাবু তার অনুসারীদের নিয়ে শরিফকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়, ফলে জহিরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলামের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়।
এছাড়া, ১৫ এপ্রিল রাতে ১১ টার দিকে শাহ আলী থানার ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন ঢাকা মহানগর উত্তরের যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজের অফিসে শাহ আলী থানার ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শান্ত ইসলাম ; মাদক ব্যবসায়ী সিজয় আহমেদ, শাহ আলী থানার যুবলীগ নেতা রমজান আলী, মো: আলম, রবিউল ইসলাম রুবেল (ডুক্কু রুবেল); মো: ইয়াকুব আলী, মো: আমিনুল ইসলাম, মো: সোহেল গং মিলে
মো: জহিরুল ইসলামকে জোরপূর্বক তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে অফিসের কর্মীরা বাধা দিলে উঠিয়ে নিতে ব্যর্থ হয় ।
পরবর্তী সময়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের এবং অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র, লাঠি, চাপাতি, রামদা এবং আগ্নেয়াস্ত্রসহ অতর্কিতভাবে যুবদলের অফিসে হামলা চালায়।
সেই হামলায় মো: জহিরুল ইসলামসহ তার সহকর্মীরা গুরুতর আহত হয়। রবিউল ইসলাম রুবেল যুবদলের জহিরুলকে কিল-ঘুষি মেরে ও রফিকুল ইসলাম মনির ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিয়ে হোসেনকে গুরুতর আঘাত করেন এবং ইয়াকুব চাপাতি দিয়ে বিল্লাল হোসেনকে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত করেন। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে, হামলাকারীরা ককটেল ছুড়ে পালিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনায় গত ১৭ এপ্রিল জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০ জনের উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ আসামি করে শাহ আলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ বলেন, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ১৬ বছরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর জেল, জুলুম হামলা-মামলা, অফিস বাড়িঘর অগ্নিসংযোগকারীরা এখনো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র নেতাকর্মীদের উপর হত্যা, হামলা ও মিথ্যা মামলা অব্যাহত রেখেছেন।
যুবলীগের সিজয়, রকি টিভিতে বক্তব্য দিয়েছে ইন্টারনেট ব্যবসা নিয়ে আমাদের দুই গ্রুপ হামলা চালিয়েছে। এই বক্তব্যর ১০ মিনিটের মধ্যে শাহ আলী থানার ওসি তদন্তে না করে তিনিও বলে ফেললেন ইন্টারনেট ব্যবসা কেন্দ্র বিএনপি’র দুই গ্রুপে হামলা। যুবলীগের সিজয় কি বিএনপি করে, রকি কি বিএনপি করে, তিনি কি আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য ওসি হয়েছেন। একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে এই মন্তব্য আশা করা যায় না।
শাহ আলী থানা পুলিশ উক্ত মামলার আসামি শাহ আলী থানার ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শান্ত ইসলাম, মাদক ব্যবসায়ী ফতের ছেলে যুবলীগ নেতা শাহ আলী থানা সিজয় আহমেদ। দুলাল, রমজান আলী, মো: আলম, রবিউল ইসলাম রুবেল (ডুক্কু রুবেল), মো: ইয়াকুব আলী, মো: আমিনুল ইসলাম এবং মো: সোহেলকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে প্রেরণ করে।
শাহ আলী থানার ওসি শরিফুল ইসলাম আওয়ামী লীগকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তার বক্তব্য জানতে চাইলে উক্ত অভিযোগের বিষয়ে তার কোন বক্তব্য নেই ।