• ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্ধারিত সময়ের আগেই বাজারে ভরে গেছে অপরিপক্ক লিচুতে”

Mofossal Barta
প্রকাশিত মে ১০, ২০২৫, ১৬:৪৮ অপরাহ্ণ
নির্ধারিত সময়ের আগেই বাজারে ভরে গেছে অপরিপক্ক লিচুতে”

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় নির্ধারিত সময়ের আগেই বাজার ভরে গেছে অপরিপক্ব লিচুতে। এসব লিচু প্রথম দেখায়ই বুঝা যায় এখনো

সংবাদটি শেয়ার করুন....

আল মামুন ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় নির্ধারিত সময়ের আগেই বাজার ভরে গেছে অপরিপক্ব লিচুতে। এসব লিচু প্রথম দেখায়ই বুঝা যায় এখনো পরিপক্ব হয়নি।

তবুও অতি মুনাফার আশায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আমদানি করে এই উপজেলায় নিয়ে আসা হয়েছে এ লিচু। সুস্বাদু ও রসালো এই লিচু পরিপক্ব হয়ে বাজারে আসতে সময় লাগবে অন্তত ৮ থেকে ১০ দিন। যার মধ্যে থাকবে আগাম জাতের মাদ্রাজি ও বোম্বাই লিচু। এর ঠিক কিছুদিন পরই বাজারে মিলবে চায়না থ্রি ও বেদেনা জাতের লিচু। সরজমিনে ঘিওর বাজারসহ বিভিন্নস্থান ঘুরে দেখা গেছে, মৌসুমি ফল বিক্রেতারা অস্থায়ী দোকানে আঁটি জাতের লিচু বিক্রি করছেন। উপজেলার সর্বত্রই এখন কমবেশি বিক্রি হচ্ছে লিচু।

বিক্রেতারা রাজশাহী, দিনাজপুর ও যশোর থেকে এসব লিচু আনেন। পুরোপুরি না পাকলেও এসব লিচুর দাম বেশ চড়া। বাজারে প্রতি পিস লিচু বর্তমানে আড়াই থেকে তিন টাকা পর্যন্ত মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। এই লিচু কেনার জন্যও অনেকের স্বাদ থাকলেও সাধ্য নেই। তাই অধিকাংশ মানুষই ৫০ পিসের বেশি লিচু কিনতে পারছেন না। এমনই এক ক্রেতা দিন মজুরি মো. আবুল হোসেন বলেন, দিন মজুরি করে কোনোভাবে সংসার চালাই। বাচ্চারা বলেছে লিচু খাবে। মৌসুমের প্রথমদিকের লিচু, দেখতেই বুঝা যাচ্ছে এখনো ঠিকমতো পাকেনি। তবুও বাচ্চাদের আবদার মেটাতে ৫০ পিস লিচু কিনেছি। অধিকাংশ লিচুই খুব ছোট, এর প্রতি পিসের দাম পড়েছে ৩ টাকা করে। এদিকে, চরবাইলজুরী পঞ্চরাস্তার ভ্রাম্যমাণ মৌসুমি ফল বিক্রেতা মো. রুবেল হোসেন জানান, বিগত ৫ বছর ধরে আম, লিচু এবং পেয়ারাসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল বিক্রি করছি।

এবার একটু আগেভাগেই বিভিন্ন জেলা থেকে লিচু আসতে শুরু করেছে। তাই আমিও আগেই আড়ত থেকে লিচু এনে বিক্রি করছি। প্রতিদিন ভ্যানগাড়িতে করে বিভিন্নস্থানে ঘুরে ঘুরে লিচু বিক্রি করছি। বর্তমানে অধিকাংশ লিচুই আঁটি জাতের। এই লিচুই প্রতি পিস আড়ত থেকে আমাদের কেনা পড়ে ২ টাকার মতো । আর ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করি প্রতি পিস আড়াই থেকে তিন টাকা। কিছুটা আগেভাগে বাজারে লিচু আসায় চাহিদাও অনেকটা বেশি। যার ফলে প্রতিদিন আমিই ৫ হাজার পিসের মতো লিচু বিক্রি করতে পারি। তবে আরও ভালো জাতের লিচু বাজারে আসতে এখনো ১০ দিনের মতো সময় লাগবে। ওই লিচু বাজারে আসলে দাম আরও বাড়বে। এ বিষয়ে সিংগাইর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, বাজারে বর্তমানে যেসব লিচু দেখা যাচ্ছে তার মধ্যে শুধু স্থানীয় কিছু জাতের লিচু বিক্রির সময় হয়েছে। আর অন্য জাতের লিচু আরো কিছুদিন পরে বাজারে আসবে।
জানতে চাইলে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হাসিব আহসান বলেন, বাজারে যে সমস্ত অপরিকক্ব লিচু এসেছে সেগুলো দু একটা খেলে পেটের পীড়া হতে পারে এর চেয়ে বেশি খেলে বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে।