• ৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দল নিষিদ্ধের প্রভাব কেমন হতে পারে ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে”

Mofossal Barta
প্রকাশিত মে ১২, ২০২৫, ১৩:০১ অপরাহ্ণ
দল নিষিদ্ধের প্রভাব কেমন হতে পারে ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে”

সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় বিবৃতি দিয়ে বলেছে, 'সরকারের সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করেই আওয়ামী লীগ যথোচিতভাবে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে যাবে'। একই সাথে সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে 'জনগণ দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে' বলেও ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

রাকিব হাসনাত: বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে’ আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতাদের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে, সেটি বাংলাদেশের রাজনীতিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে- তা নিয়ে নানা ধরনের বিশ্লেষণ চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।

বিশ্লেষকরা কেউ কেউ বলছেন, জুলাই অগাস্টের হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ীদের বিচার হতে হবে কিন্তু ‘যে প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধের দাবিটি সামনে এনে সরকার অগ্রসর হয়েছে’ তা ভবিষ্যতে প্রতিপক্ষ দমনে রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠতে পারে।

আবার কেউ বলছেন, শেষ পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দিকে গড়ালে এবং সেই প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা শুরু করলে সংঘাত সংঘর্ষের রাজনীতিই আবার ফিরে আসতে পারে।

আর সংঘর্ষ, সহিংস রাজনীতি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাকে আরও অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে মনে করছেন কেউ কেউ।

এদিকে গতকাল শনিবার রাতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ সভায় আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তার সরকারি আদেশ হাতে পাওয়ার পর দলটির নিবন্ধন বাতিলে করণীয় ঠিক করার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

আদালত কর্তৃক নিষিদ্ধ হলে বা চূড়ান্তভাবে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলে আওয়ামী লীগের পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে না।

সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় শনিবার রাতেই লিখেছেন ‘বিচারিক প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত ভাবে নিষিদ্ধ হওয়াই অধিকতর গ্রহণযোগ্য ও স্থায়ী বন্দোবস্ত। এবং তা করার জন্য ছাত্র-জনতার দাবি অনুযায়ী আইসিটি আইনে যাবতীয় সংশোধন করা হয়েছে”।

এর আগে উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছিলেন, “আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতাদের বিচার কার্যসম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, জুলাই আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাস বিরোধী আইনের অধীনে সাইবার স্পেসসহ আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে”।

সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পাতায় বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘সরকারের সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করেই আওয়ামী লীগ যথোচিতভাবে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে যাবে’। একই সাথে সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ‘জনগণ দাঁতভাঙ্গা জবাব দিবে’ বলেও ওই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।