তিনি বলেন, আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি—পুলিশের হাতে কোনো মারণাস্ত্র থাকবে না। বর্তমানে যেসব মারণাস্ত্র তাদের কাছে রয়েছে, সেগুলোও ফেরত দিতে হবে। অস্ত্র কেবল থাকবে এপিবিএন সদস্যদের হাতে, যাদের দায়িত্ব ও কার্যক্রম অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের চেয়ে আলাদা।
উপদেষ্টা জানান, র্যাব পুনর্গঠন সংক্রান্ত বিষয়েও আলোচনা হয়েছে এবং একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
এদিকে আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত ব্যবস্থা। বিশেষ করে পশুবাহী ট্রাক ও হাট সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চিতে গরুর হাট ইজারাদারদের নিজ খরচে ১০০ আনসার মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া চাঁদাবাজি ও ছিনতাই রোধে মাঠে থাকবে যৌথ বাহিনী এবং বাড়ানো হবে পুলিশের নজরদারি।
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান, ঈদের আগে গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে শ্রমিক অসন্তোষ বা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয়। এছাড়া ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক পুশইনের শিকার অধিকাংশ মানুষই বাংলাদেশি বলে জানান তিনি।