মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ইন্টারন্যাশনাল প্যাকটিস হচ্ছে নীতি এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগ এক থাকে না; সব দেশেই আলাদা থাকে। নীতি বিভাগে প্রফেশনাল লোক দিয়ে কাজ করতে হয়। অর্থনীতি, পরিসংখ্যান, জিডিপি এসব সম্পর্কে তাদের ধারণা থাকতে হয়। এনবিআর করবে বাস্তবায়ন। তারা যদি নীতিও করে আবার রাজস্ব আদায়ও এটা কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টও।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অন্ত্যন্ত চিন্তা করেই অধ্যাদেশটি করা হয়েছে। এনবিআরের হাজার হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী আছে। যারা সদস্য আছে, প্রশাসনের যারা আছে তাদের সাথে আলাপ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রাজস্ব আদায়ে অধ্যাদেশের কোনো প্রভাব পড়বে না। রাজস্ব আদায় হতাশাব্যাঞ্জক নয়, গতবারের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি হয়েছে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, গতবারের চেয়ে কম হবে না।
উপদেষ্টা বলেন, ধার করে বড় বড় মেগা প্রজেক্ট করব না। ব্যাংক থেকে ধার করে, টাকা ছাপিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন করব না। বাজেট ছোট না বড় হবে, সেটি কিছুদিন পরেই বোঝা যাবে।
এরআগে সোমবার দিবাগত রাতে এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। একই সঙ্গে বিলুপ্ত করা হয় অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগও।
এদিকে, সরকারের এ সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করছেন কর্মীরা। আইএমএফের শর্ত মানতে আয়কর ও কাস্টমস ক্যাডার কর্মকর্তাদের মতামত উপেক্ষা করে এ সিদ্ধান্ত বলে দাবি তাঁদের। এ নিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে।