• ৩০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুরবানিতে এবার হাট কাঁপাবে রাজবাড়ীর ‘রাজা’

Mofossal Barta
প্রকাশিত মে ২২, ২০২৫, ১২:১৮ অপরাহ্ণ
কুরবানিতে এবার হাট কাঁপাবে রাজবাড়ীর ‘রাজা’

রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা শুভাষ শিকদার জানান, প্রায় ৪ বছর ধরে নিজ বাড়িতেই লালন-পালন করছেন রাজবাড়ীর রাজাকে। ৬ দাঁতের হালকা বাদামি রঙয়ের রাজবাড়ীর রাজার ওজন প্রায় ২০ মণ। সুঠাম দেহের রাজার উচ্চতা ৬ ফুট ও লম্বায় প্রায় ৭ ফুট। বুকের চওড়া সাড়ে ৬ ফুট। কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে এবার  হাট কাঁপাবে রাজবাড়ীর এই রাজা।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

হেলাল মাহমুদ, রাজবাড়ী প্রতিনিধি: রাজবাড়ীতে এবার কুরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় ২০ মণ ওজনের শাহীওয়াল জাতের একটি বিশাল বড় ষাঁড় গরু। গরুটির মালিক শুভাষ শিকদার সন্তানের মতো করে চার বছর ধরে লালন পালন করছেন। সুঠামদেহী লাল রঙের এই গরুটির মালিক তাকে আদর করে নাম রেখেছেন- রাজবাড়ীর ‘রাজা’। গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে আট লাখ টাকা।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানিবহ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মনারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা শুভাষ শিকদার জানান, প্রায় ৪ বছর ধরে নিজ বাড়িতেই লালন-পালন করছেন রাজবাড়ীর রাজাকে। ৬ দাঁতের হালকা বাদামি রঙয়ের রাজবাড়ীর রাজার ওজন প্রায় ২০ মণ। সুঠাম দেহের রাজার উচ্চতা ৬ ফুট ও লম্বায় প্রায় ৭ ফুট। বুকের চওড়া সাড়ে ৬ ফুট। কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে এবার  হাট কাঁপাবে রাজবাড়ীর এই রাজা।

তিনি আরও বলেন, ‘প্রায় চার বছর ধরে রাজাকে আমি সন্তানের মতো লালন-পালন করেছি। এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রির জন্য রাজাকে প্রস্তুত করছি। এটার ওজন ১৮ থেকে ২০ মণ হবে। এটি শাহিওয়াল জাতের। রাজার খাবার শুকনো খড় এবং ভুট্টা, খেসারি ও জবের সংমিশ্রণে তৈরি ভূষি। এছাড়াও রাজা কাঁচা ঘাস খেতে পছন্দ করে। প্রতিদিন দুই বার গোসল করানো হয় রাজাকে। রাজার জন্য ২৪ ঘণ্টায় চালিয়ে রাখতে হয় ফ্যান ও লাইট। ’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গ্রামাঞ্চলের মানুষ। শহরের হাট-বাজার খুব বেশি একটা চিনি না। আর চিনলেও আমার দ্বারা এত বড় গরু হাটে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করা সম্ভব না। আমার ইচ্ছা ভালো খরিদদার পেলে বাড়ি থেকে দাম কম বেশি করে বিক্রি করে দেব। আমি রাজাকে বিক্রির জন্য ৮ লাখ টাকা দাম হাঁকাচ্ছি।’

এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘প্রশান্ত শিকদার একটা গরু মোটাতাজাকরণ করেছেন। গরুটি শাহীওয়াল জাতের গরু। বয়স প্রায় চার বছর। প্রায় ১৭ থেকে ১৮ মণ ওজন হবে। গরুটি সে প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজাকরণ করেছে। খুব সুন্দর সুস্থ একটা গরু। তিনি আমাদের প্রাণি সম্পদ দপ্তরে যোগাযোগ করেছে এবং আমাদের পরামর্শে লালন-পালন করেছে।’

উল্লেখ্য, কুবরবানিতে চলতি বছরে জেলায় কুরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা রয়েছে মোট ৪৭ হাজার ৯৬৩টি। এর মধ্যে গরু রয়েছে ২৪ হাজার ২৬০টি, মহিষ রয়েছে ২৩২টি, ছাগল, ভেড়া ও অন্যান্য মিলে রয়েছে ২৩ হাজার ৪৭১টি। চলতি বছর জেলায় কুরবানির জন্য গবাদিপশুর চাহিদা রয়েছে ৪১ হাজার ৬০১টি। উদ্বৃত্ত থাকবে ছয় হাজার ৩৬২টি।