শাহাদাত হোসেন, রাজশাহী
সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের কুশপুত্তলিকা দাহ করে রাজশাহীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার রাজশাহী নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ তাকে অবঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল হত্যার বিচারের দাবিতে এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করায় শাহরিয়ার আলম এমপির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। রাজশাহী মহানগর যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ যৌথভাবে এই বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশের সাবেক প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ারের কুশপুত্তলিকা দাহ ও অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
বিকাল ৫টায় কুমারপাড়াস্থ মহানগর আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে সমাবেশ করা হয়।সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান খান মনির। বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি, মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি মাহবুবুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ আব্দুল মমিন, রাজশাহী জেলা যুবলীগের সভাপতি মাহমুদ হাসান ফয়সল সজল, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসমিন আরাফাত সৈকত, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান রানা, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুজ্জামান শফিক, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান রাজিব, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিয়াম, রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু, রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা হিল গালিব, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ডাঃ শুভ কুমার মন্ডল। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সিরাজুম মুবিন সবুজ।
সমাবেশে মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি বলেন, আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ নেতা ছিলেন আশরাফুল ইসলাম বাবুল। আমরা বাবুল হত্যার বিচার চাই এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।
তিনি বলেন, বাঘা দলিল লেখক সমিতির কমিটি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ দ্বন্দ্ব ও সংঘাত চলে আসছে। এই দ্বন্দ্ব নিরসনের কোন উদ্যোগ নেননি শাহরিয়ার আলম। এই দ্বন্দ্বের কারণে দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং আওয়ামী লীগ নেতা বাবুলের মৃত্যু হয়। বাবুল এর মৃত্যুর মূল হোতা এই শাহরিয়ার আলম। তাকে রাজশাহী জেলা ও মহানগরে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হইল।