অনলাইন ডেস্কঃ
ঘূর্ণিঝড় রেমালে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১৯টি জেলার অন্তত ৩৭,৫৮,০৯৬ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।
এ ছাড়া ১০৭টি উপজেলা ও ৯১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৩৫,৪৮৩ টি বাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ১,১৪,৯৯২ টি বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে,” বলেছেন প্রতিমন্ত্রী।
সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় গত ৪-৫ দিন ধরে কাজ করছি। আমাদের প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও আমরা ১০ জনকে হারিয়েছি।”
ঘূর্ণিঝড় তারা সফলভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।
“প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে, দুর্যোগ মন্ত্রণালয় গত কয়েকদিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। সে কারণে বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি,” যোগ করেন মহিব্বুর।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “তথ্য অনুযায়ী খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রামে মোট ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট ১৯ জেলা- খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর। বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও যশোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, উপকূলীয় এলাকায় মোট ৯ হাজার ৪২৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং সেখানে আট লাখের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, “গতকাল সন্ধ্যায় দেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বেশ কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।”