মামলার বিষয়ে জেড আই খান পান্না আজ প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার তিন মাস পর আমার বিরুদ্ধে মামলা হলো। এটা কোনো না কোনো প্রভাবশালীর ইন্ধনেই হয়েছে, তা নিয়ে আমার সন্দেহ নেই। অথচ আমি কোটা আন্দোলনকারীদের পক্ষে সক্রিয় ছিলাম।
জেড আই খান পান্না বলেন, যে স্থানের কথা বলা হয়েছে সেই মেরাদিয়ায় আমি কখনো গেছি বলেও তো মনে হয় না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাউদ হোসেন আজ রোববার প্রথম আলোকে বলেন, বাদীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত হবে। কেউ নির্দোষ প্রমাণিত হলে তো তিনি অব্যাহতি পেয়ে যাবেন।
জেড আই খান পান্না মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) চেয়ারপারসন। তিনি বিগত সরকারের সময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী নানা আইনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় তিনি মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে শক্ত ভূমিকা নেন। শিক্ষার্থীদের পক্ষে আদালতে শুনানিও করেছিলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে অন্তবর্তী সরকারের কিছু সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না। অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান নতুন করে লেখার যে কথা বলছে, তারও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। জেড আই খান পান্না গণমাধ্যমে বলেছেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে সংবিধান রচিত হয়েছে, তার ঘোষণাপত্র পাল্টানো যাবে না। যদি করে, তাহলে যুদ্ধ না, মহাযুদ্ধ হবে।