অনলাইন ডেস্কঃ
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল রাতে বলেছেন, মিয়ানমার থেকে কাউকে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
বেলা ১১টায় কক্সবাজারের হিলটপ সার্কিট হাউসে রোহিঙ্গা শিবিরে আইনশৃঙ্খলা সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে মন্ত্রী এই নীতির কঠোর প্রয়োগের ওপর জোর দেন।
সরকারের লক্ষ্য মিয়ানমার সীমান্ত নিরাপদ করা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধ করে ক্যাম্পগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
খান উখিয়া-টেকনাফের দিকে নাফ নদী এবং নাইখনছড়ির দিকে স্থল সীমান্তের সাথে সীমান্তটিকে “খুবই অরক্ষিত” হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেন, “আমরা মিয়ানমার থেকে আর কোনো লোককে, সে রোহিঙ্গা বা কোনো নাগরিকই হোক, প্রবেশ করতে দেব না এবং আমাদের দিক থেকে কাউকে যেতে দেব না,” তিনি বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশ এবং আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নকে (এপিবিএন) ক্যাম্পে উপদলীয় সহিংসতা বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
তিনি আরো বলেন, “সেখানে আমাদের সবকিছু আছে। সেখানে বিজিবি আছে, আমাদের একটি বাহিনীও আছে। প্রয়োজনে তারা যোগ দেবে। আমাদের মূল লক্ষ্য এখানে হত্যা ও রক্তপাত বন্ধ করা।”
এ সময় জাতীয় সংসদের হুইপ ও কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কামাল, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, সশস্ত্র বাহিনী। বৈঠকে পুলিশ ব্যাটালিয়নের প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি সেলিম মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, অতিরিক্ত আইজিপি আনোয়ার হোসেন, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অনুপ্রবেশ রোধ, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ, ক্যাম্পে যৌথ সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনা, ক্যাম্পের নিরাপত্তার জন্য কাঁটাতারের বেড়া সংস্কার, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
দেশি বা বিদেশি সংস্থা যাতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত না হয় বা রোহিঙ্গাদের প্রলুব্ধ করতে না পারে সেজন্য সতর্কতা বাড়ানোর নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি আজ উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন।