দাউদকান্দি( কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌর সদরে দৈনিক ভোরের সময় পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার সালমা আক্তারের উপর হামলা ও অপহরণের চেষ্টা প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দাউদকান্দি উপজেলা সদরে সকাল ১১ টায় শহীদ রিফাত পার্কে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সালমা আক্তার বলেন,গত ৫ই আগস্ট উপজেলার বিশ্বরোডে ও ভাড়াটে জাকির হোসেনের ছেলে ও আওয়ামী লীগ নেতা নুরপুর হক কমিশনারের নাতি সামি অস্ত্র উঠিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর গুলি চালানোর সময় আমি ছবি তুলি ও ১৬ মিনিটের ভিডিও ফুটেজ আমার মোবাইল ফোনে ধারন করি । এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাকির হোসেনের স্ত্রী ও নুরপুরের হক কমিশনারের মেয়ে সুমানা আক্তার তার বাহিনী নিয়ে ৩ বার আমার বাসায় হামলা চালায় এ ঘটনা কুমিল্লা আদালতে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়, মামলাটি এখন তদন্তে আছে দাউদকান্দি থানায় এস আই হাবিবুর রহমানের কাছে পরবর্তীতে ও দুইবার আমার উপর রাস্তায় হামলা চালায় ও দুইবার অপহরণের চেষ্টা চালিয়ে আমার মোবাইল ফোন ও আমার ব্যানিটি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় আমার ছিনিয়ে নেওয়া ব্যানিটি ব্যাগের মধ্যে আমার আরো ২টি মোবাইল ফোনে ছিল ও আমার বাড়ি থেকে দেওয়া রট কিনার ৯০ হাজার টাকা ছিল।এ ব্যাপারে দাউদকান্দি মডেল থানায় সালমা বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। কিন্তু পুলিশ এ পর্যন্ত একজনকে ও গ্রেফতার করেনি এবং ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোনটি ও উদ্ধার করা হয়নি দাউদকান্দি থানার তদন্ত ওসি শহিদুল্লাহ এখনো আওয়ামী লীগের পক্ষ নিচ্ছে, সালমা আরো বলেন আমি যে পত্রিকা কাজ করি, আমার পত্রিকার সম্পাদক হাবিবুর রহমান, দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি কে বারবার ফোন করার পরও, দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি আমার সম্পাদক এর কথা কোন প্রকার কর্ণ পাত করেনি, আমাকে ঘটনাস্থল থেকে বস্ত্রহীন ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।এ অবস্থায় সালামা আক্তারকে দাউদকান্দি থানার তদন্ত ওসি অন্যান্য পুলিশ গন নিজের চোখে দেখে, তারপর দাউদকান্দি থানা থেকে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই এ পর্যন্ত এবং কি সালমা থানায় গিয়ে কান্নাকাটি করার কারনে, দাউদকান্দি থানার ওসি সালমা কে মহিলা পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করাতে চেয়েছিল,এ মামলায় আসামীদের অতি শীগ্রই গ্রেফতার করা না হলে আমাকে যেকোনো সময় মেরে ফেলতে পারে।ও আমার লাশ ঘুম করে ফেলতে পারে এবং কি আমার বাচ্চাদের অপহরণ করতে পারে।