আল মামুন মানিকগঞ্জ:
মুন্নু মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ডাক্তারের অবহেলায় এক বছর সাত মাস বছরের এক শিশুর মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। ২জুন শনিবার রাত দুইটার সময় মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার বকচর গ্রামের মোঃ সোহেল কাজীর শিশু পুত্র মোঃ রোহানকে সিভিয়ার নিউমোননিয়া জনিত কারণে মুন্নু মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়। কর্মরত ডাক্তাররা শিশুটিকে চিকিৎসা দেন।
কিন্তু সকালে শিশুটিকে ইনজেকশন দেওয়ার পর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা শিশু হাসপাতলে রেফার্ড করেন। এরই মধ্যে শিশুটি অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকে। পর্যায়ক্রমে শিশুটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পরে। মৃত রোহানের দাদি বলেন, সকালে ডাক্তার এসে আমার নাতিকে ঘুমের ইনজেকশন দেয়। তারপর আস্তে আস্তে আমার নাতি অচেতন হয়ে পরে।
ঢাকা শিশু হাসপাতলে রেফার্ড করে। কিন্তু আমাদের ২০০০ টাকা বিল বাকি থাকায় তারা আমাকে যেতে দেয় না। আমি বলেছি, আমার লোকজন আসতেছে। হাসপাতালে এসে আপনাদের বাকি টাকা পরিশোধ করবে। আমাদের যেতে দেন। অনেক অনুরোধ করেছি। তাদের একই কথা আমাদের টাকা দিয়ে তারপরে বের হবেন। বাকি টাকা না দেওয়া পর্যন্ত আমরা যেতে দেব না। কিছুক্ষণ পর ডাক্তাররা এসে বলেন, শিশুটি মারা গেছে। এই কথা শুনে স্বজনরা হাসপাতাল এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করেন। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আনতে ঘিওর থানা পুলিশকে খবর দেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ এসে হাসপাতাল এলাকা নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে ঘিওর থানার অফিসার্স ইনচার্জ বলেন, মুন্নু মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নিউমোনিয়া জনিত কারণে শিশুটি মারা যায়। স্বজনরা হাসপাতালে বিক্ষোভ করলে, পুলিশ সেখানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে স্বজনরা আমাদের কাছে কোন অভিযোগ দেননি। হাসপাতাল পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হয়তো অবহেলা হয়েছে। তবে কর্মরত জুনিয়র এডমিন অফিসার ইফাজ আহমেদকে চাকুরী হইতে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুন্নু মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালের চেয়ারম্যান আফরোজা খানম রিতাকে বারবার মুঠোফোনে ফোন করে পাওয়া যায়নি।