অনলাইন ডেস্কঃ
মেঘালয়ে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়া সত্ত্বেও সিলেটে বন্যায় আটকে পড়া মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে কারণ এর মোট ৪২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২৮টি ওয়ার্ড প্লাবিত রয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলার ১৪টি উপজেলার ১০টির নিচে ৭৬১টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে, এতে প্রায় ৬ লাখ ১৪ হাজার মানুষ আটকা পড়েছেন। কয়েক ঘন্টার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামের সংখ্যা ৮৪৩ এ পৌঁছেছে, রাত ১০ঃ০০ নাগাদ আক্রান্তের সংখ্যা ৭.৩৮ লাখে পৌঁছেছে।
সিলেটে ৫২মিলিমিটার (মিমি) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যেখানে চেরাপুঞ্জিতে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ২৪ঘন্টায় ৩০মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ২১৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে এবং একই সময়ে চেরাপুঞ্জিতে ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
সাজিদুর রহমান বলেন, “আমাদের এলাকা কোমর-গভীর পানিতে ডুবে থাকায় আমাদের প্রতিবেশীরা বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। কোনো বাড়িতে গ্যাস, বিদ্যুৎ বা খাবার নেই। আমরা সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।” সিলেট শহরের বাসিন্দা।
ইতোমধ্যে সিলেট সিটি কর্পোরেশন বন্যার্তদের জন্য প্রায় ৫৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে বলে জানিয়েছেন এর জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর।
এছাড়া বিভিন্ন কাউন্সিলররা ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িতে আশ্রয় দিচ্ছেন বলে জানাচ্ছেন আমাদের মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।
জনসংযোগ কর্মকর্তা আরো বলেন, “উপপ্রবাহিত সুরমার পানিতে শহরের খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় নিচু ওয়ার্ডগুলো তলিয়ে গেছে। তবে, সিটি করপোরেশন বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের সতর্কতা নিয়েছে।”