সেই হিসেবে ১০০ গ্রাম বা প্রায় সাড়ে ৮ তোলা স্বর্ণবারের শুল্ককর ৩৪ হাজার ২৯৩ টাকা। এই শুল্ককর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ থাকলেও কিছুই করার ছিল না কাস্টমস কর্মকর্তাদের; কারণ, স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা ছিল না। সে জন্য নতুন বিধিমালায় স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন এই সুবিধার অপব৵বহার হবে না।
বাজেটে ‘অপর্যটক যাত্রী ব্যাগেজ বিধিমালায়’ স্বর্ণালংকারের সংজ্ঞা সংযোজন করা হয়েছে। বলা হয়েছে, স্বর্ণালংকার অর্থ ২২ বা তার চেয়ে কম ক্যারেটের স্বর্ণ দ্বারা নির্মিত নকশাখচিত ও পরিধানযোগ্য অলংকার।’
নতুন এই সংজ্ঞার কারণে ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণের বার দিয়ে ১০০ গ্রাম ওজনের মোটা চুড়ি বানিয়ে আনার সুযোগ শেষ হয়ে গেল। এখন একজন যাত্রী সর্বোচ্চ ২২ ক্যারেটের প্রকৃত স্বর্ণের অলংকার আনতে পারবেন।
তবে এবারের বাজেটেও আগের মতোই একজন যাত্রী শুল্ককর পরিশোধ করে ১১৭ গ্রাম ওজনের স্বর্ণের বার আনতে পারবেন। প্রতি ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রামের জন্য চার হাজার টাকা শুল্ক দিতে হবে। সেই হিসেবে ১১৭ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণবার আনতে ৪০ হাজার টাকা শুল্ক কর দিতে হবে। এর বেশি আনার সুযোগ নেই। কোনো যাত্রী এর বেশি স্বর্ণবার আনলে তা বাজেয়াপ্ত করার বিধান আছে।