অন্যান্য চরিত্রের পার্শ্ব–অভিনেতারাও ছিলেন খুব ভালো। নিশানের বন্ধু বাবুর চরিত্রে রাজীব সালেহীন, নিশানের বাবার চরিত্রে গাজী রাকায়েত ছিলেন যথাযথ। সন্তানহারা মায়ের চরিত্রে মনিরা আক্তার মিঠুও ভালো করেছেন। তিনি যখন বলে ওঠেন, ‘মরার সময় পানি পাবি না রে জানোয়ার’, সেই হাহাকার মন ছুঁয়ে যায়। কেবল এই সংলাপই নয়, পুরো সিনেমার অনেক সংলাপই মনে রাখার মতো। ‘এই ১৪টা বছর আমি আল্লাহর কাছে একটাই দোয়া করসি, সবাই যেন আমারে মাফ কইরা দেয়’, ‘ক্ষমা চাইতে অনেক সাহস লাগে। অনেক ক্ষমতাশালীর পতন হইসে ক্ষমা চায় নাই বইলা’—এমন অনেক সংলাপ হল থেকে বের হওয়ার পরও মনে থাকে।
দাগির আবহ সংগীতের কাজ দারুণ। এ জন্য সাজিদ সরকার ও শুভদীপ গুহর বিশেষ ধন্যবাদ প্রাপ্য। ছবির পুরোটা সময় মেজাজ বুঝে দারুণ আবহ সংগীতের ব্যবহার করা হয়েছে। কোথাও কোথাও পুরোপুরি অ্যাম্বিয়েন্ট সাউন্ড রাখা হয়েছে। শুনতে ভালো লাগে রিকশার টুংটাং, হাঁসের দলের ছুটে চলা, মানুষের কোলাহল। ছবির মেজাজ বুঝে ‘নিয়ে যাবে কি’, ‘একটুখানি মন’ গানগুলোর ব্যবহারও হয়েছে যথাযথ।
‘দাগি’র শেষ ক্লাইম্যাক্সটাও গভীর। আবেগ আর পারিবারিক বন্ধনে যে নাটকীয়তা তৈরি করেছেন নির্মাতা, সেটা নাড়িয়ে দেয়, সিনেমায় ব্যবহার করা শায়েরির মতোই।